কুটলু

।।১।।

“কুটলু বাবু, আমি কিন্তু এবার খুব রেগে যাব, এদিকে এস, সারা মুখে লাগাচ্ছো, কুটলু, কুটলু।।।”

আড়াই বছরের কুটলুর পিছনে ছুটল পরমা। অরুণবাবু বেড়িয়েছেন শনকা দেবীকে নিয়ে। পরমার উপর ভার সবকিছুর। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখল সাড়ে বারোটা প্রায়। এখনো থালায় বেশ খানিকটা ডালভাত পড়ে। কুটলু মুসুর ডালটা খুব পছন্দ করে, চুপচাপ খেয়েও নেয়। আজকেই কেন যে এরকম করছে।

তার মধ্যে এখন হাঁটতে শিখেছে ভালোমতো মতো,রীতিমত দৌড়ায়,বয়সের তুলনায় যদিও একটু দেরিতেই হেঁটেছে, পায়ে জোর আসতে খানিক দেরিই হয়েছে| আর তাই এখন ভাতের থালা নিয়ে তার পিছনে পিছনে ছুটতে হয় পরমাকে। অন্যদিন মোবাইল বা টিভিতে কার্টুন চালিয়ে দিলে হাঁ করে তাকিয়ে থাকে, খাওয়াতে অসুবিধাও হয় না। কিন্তু আজ সেসবের বালাই নেই।

ফ্ল্যাটটা 2BHK, একটা ছোট সুন্দর বারান্দাও আছে ড্রয়িং রুমের সাথে। কুটলুর জন্যই গ্রিল লাগিয়ে নেওয়া হয়েছে এখন। কাঁচের স্লাইডিং দিয়েও নয়তো টুকটুক করে বেরিয়ে যাচ্ছিল। তাই তড়িঘড়ি গ্রিল লাগানো হলো।

ড্রয়িং রুমে সোফা, টেবিলের চারধারে ঘুরতে ঘুরতে হাঁফিয়ে গেছে পরমা। আর পারছে না। এঁটো হাতে থালা নিয়েই ধপ করে বসে পড়ল সোফায়। কুটলু ততক্ষণে ওদের বেডরুমে ঢুকে গেছে।

**********

কুটলুর সবকিছুই কত্ত বড় মনে হয়। ঐ যে যেখানে টম আর জেরী ঝগড়া করে, টিভি, ইয়া বড়, সোফাটা ইয়া বড়, খাটটাও কী বড়, কী উঁচু। এইটুকু তো পা, সবে তো দৌড়াতে শিখেছে ও, ঐ যে আয়নাটা। এই জিনিসটা খুব পছন্দ ওর, সব থেকে ভাল লাগে মামমাম যখন সাজে, যখন রেডি হয়, এই আয়নাটার সামনে বসে।

গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে গেল কুটলু ড্রেসিং টেবিলের সামনে। আপাতত খাটে ওঠার চেষ্টা স্থগিত। ড্রেসিং টেবিলে একবার, মা ঐ যে লিপস্টিক লাগায়, ঐটা সাজানো ছিল। রংটা খুব পছন্দ হয়েছিল কুটলুর। কুটলু সেটা নিয়ে তাকে পিসপিস করে কেটে, পেস্ট বানিয়ে সারা মুখে লাগিয়ে, খুব মজা পেয়েছিল সেদিন। সবাই কত চেঁচামেচি করেছিল, কিন্তু মামমাম একটুও বকেনি। শুধু কুটলুর কচিগালে একটা হামি দিয়ে বলেছিল, আর এসব না করতে। হ্যাঁ তারপর থেকে কুটলু গুডবয় হয়ে গেছে। যদিও ও গুডবয়ই, কিন্তু মামমাম খুব চালাক হয়ে গেছে এখন, ড্রেসিংটেবিলে আগে কত জিনিস সাজিয়ে রাখত, এখন আর রাখে না। কুটলু সব বোঝে। ছোট তো কী, খুব স্মার্ট ও। ওর নাগাল থেকে দূরে রাখতেই মা এরকম ফন্দি এঁটেছে। ড্রয়ারগুলোও লক। বেশ খানিকক্ষণ কচি হাতে টানাটানির পর হাল ছেড়ে দিল কুটলু। থেবড়ে মাটিতে বসে পড়ল পা ছড়িয়ে। মুন্ডু ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে এদিক ওদিক দেখলেন একটু। স্নান করে ভাত খান বাবু। পাউডার মাখতে খুব ভালবাসে কুটলু, তাই পাউডারটা একটু বেশীই মাখেন। একটা প্যাঁকপ্যাঁক হাঁস হাতের কাছে পেয়ে যেতেই আপাতত বাকী প্ল্যান স্থগিত। সেটাকে নিয়ে খানিক ব্যস্ত হতেই নাকে এলো গন্ধটা। এটা তো মা মা গন্ধ। তার মানে মামমাম এসে গেছে।।। মামমাম কাছ এলেই এই গন্ধটা পায় কুটলু। ছোট্ট ছোট্ট পায়ে উঠে দাঁড়িয়ে চোখ বড় করে এদিক ওদিক ঘাড় ঘোরাতে লাগলেন তিনি। মামমাম খাটের ওপাশে লুকিয়ে,ঠিক ধরেছে। কিন্তু এইটুকু তো পা, পারে নাকি কুটলু। উফফ, অতি কষ্টে চাদর গদি হিঁচড়ে টেনে খাটে ওঠার চেষ্টা করল ও। তখনই পিছন থেকে এসে ধপ করে ধরে ফেলল মামমাম। ইস, কুটলু ধরার আগেই মামমাম ধরে নিল, লজ্জায় মুখ নামিয়ে চোখ দুটি বন্ধ করে নিয়েছিল ও। আপাতত মা-এর কোলে। মা মাথাটায় হাত বুলিয়ে কুটলুর গালে হামি দিল একটা। হিহি , মা তার মানে এখন বকবে না, বুঝে গেছে ও। চোখ পিটপিট করে চাইল মা-র দিকে।

মামমাম তুমি কী মিষ্টি, কী সুন্দর। ছোট ছোট হাতে মার মাথার বড় লাল টিপটার দিকে হাত বাড়াল ও। মা রাগী রাগী মুখ করে চোখ বড় বড় করে, গলা গম্ভীর করে বলল, “তবে রে! ফেলে দেব কোল থেকে? দি, দি ফেলে?”

খিলখিলিয়ে হেসে উঠল কুটলু। কুটলুকে বসিয়ে ঘর থেকে বেরল শ্রী। শ্রীতমা, কুটলুর মা। মামমাম কুটলুর ভাত আনতে গেছে, জানে কুটলু। পরমা মাসি নালিশ করলেও মা বকবে না এখন।

ক্ষিদে ক্ষিদেও পেয়েছে আবার। ঘুম ঘুমও লাগছে, ডাক ছেড়ে কাঁদবে? একটু গলা চড়িয়ে শুরু করল। সঙ্গে সঙ্গেই পরমা মাসি হাজির। নাহ, আর জ্বালায়নি কুটলু, চুপচাপ ভাত খেয়ে নিয়েছে। খেয়েদেয়ে ভাত ঘুম দেবার জন্য রেডী উনি। কিন্তু মামমাম কই গেলো? আবার বেরিয়ে গেল? এইবার কান্না পাচ্ছে ওর। যতই ও ব্রেভ বয় হোক, জানে মা খুব ব্যস্ত, কিন্তু কুটলুর কাছে কখনোই থাকবে না তাই বলে? ও-ও তো ছোট্ট, এতটুকু। ঠাম্মি আদর করে গোপাল ঠাকুর বলে। সবাই বলে কুটলুকে নাকি মায়ের মতোই দেখতে হয়েছে। শুনে খুব আনন্দ হয় কুটলুর। তার মানে খুব সুন্দর নিশ্চয়, কারণ মা কী মিষ্টি তো। কী সুন্দর নাক, কী সুন্দর চোখ, কতখানি চুল, কুটলু খালি টানাটানি করে ছিঁড়ে ফেলে মা-র চুলগুলো যদিও, ইচ্ছে করে করে না বাপু। কী সুন্দর মায়ের মুখের হাসিটা, আর ফর্সা নরম হাতে কুটলুকে মা যখন তেল মাখিয়ে চান করাত, মা-র গা থেকে ঐ মিষ্টি মা-মা গন্ধটা পেতো ও । কুটলুর ঘুমে এখন চোখটা বুজে আসছে। পরমামাসি ওর ছোট্ট বিছানার উপর মশারী চাপিয়ে চলে গেল। পরমা মাসি একটু সুড়সুড়ি, একটু থাবড়ে দিলে পারে তো !এই জন্যই কুটলুর কান্না পায়। আধবোজা চোখেই নাকে গেল গন্ধটা, এই তো, মামমাম। তার মানে, কাজ হয়ে গেছে মা-র। মা কুটলুর ছোট্ট এইটুকু পিঠে চাপড়াতে লাগল, সঙ্গে, “আয় ঘুম, আয় ঘুম।।।” ঘুমে ঢলে পড়ল কুটলু।

।।২।।

বেশ স্বপ্ন দেখছিল কুটলু, মিটিমিটি হেসে, কে যে এসে খুটখাট করছে কে জানে। ঘুম হয়ে গেছে, একটু চোখ পিটপিট করে হাই তুললেন উনি। আরে বাবা আজ এত তাড়াতাড়ি এসে গেছে! বাবা ড্রেসও চেঞ্জ করে ফেলেছে, রাস্তার জামা পরে কুটলুকে আদর করলে খুব বকে মা, বাবাকে। তাই বাবাও এখন কুটলুর মতো মায়ের কথা শোনে। এখন ও নিজেই উঠে পড়তে পারে। তাই ওর নিজস্ব ছোট্ট বিছানায় উঠে বসল ও, বাবার সাথে খেলবে বলে। আধো আধো গলায় বাবাকে ডাকতেই কোলে তুলে নিল বাবা। বাবার কোলটা ভাল, কিন্তু মা-র কোলটা বেশ নরম, বাবার কোলটা কী শক্ত। যাইহোক রণদীপ মানে রণ, কুটলুর বাবা আর কুটলু আপাতত খেলায় ব্যস্ত। এবার কুটলুর মুখ ধুয়ে ফল খাবার সময় হয়ে গেছে। আজ মা বাবা তাড়াতাড়ি এসে গেছে, কিন্তু দাদু, ঠাম্মি, কই? সেই কখন থেকে নেই। এরকম তো হয় না। বাপির সাথে খেলতে খেলতে ‘ঠাম’ ‘ঠাম’ বলছিল কুটলু অস্পষ্ট ভাবে। তখনই বাজল বেলটা। এই তো ঠাম্মি, দাদুন এসে গেছে তার মানে। কুটলুকে বসিয়ে দরজা খুলতে গেল বোধহয় বাপি।

কুটলু খাট থেকে নামার চেষ্টায় অতি কষ্টে কচি কচি পাগুলো দিয়ে মেঝেটা ছোঁয়ার চেষ্টা করল। কিন্তু এইটুকু পা, হয় নাকি? অস্ত্র একটাই তাহলে, চিলচিৎকার। পরমা মাসি এসে তখনকার মতন কোলে করে বাথরুমে নিয়ে গেল। একটু ফিটফাট হয়ে কোলে চেপেই ড্রয়িং রুমে পৌঁছালেন উনি। টিভিতে খবর চলছে, কুটলু বোঝে ঐ যে চশমা পরে লোকটা হাত নেড়ে কোর্ট পরে বকবক করে, ছবি দেখায়, সে খবর পড়ে। মামমাম ওকে বলেছে।

আরে, আরে, আরে, এ যে দাদু দিদুনও হাজির! মামাবাড়ির দাদু দিদুন, সঙ্গে তোজোও। তোজো ওকে খুব ভালবাসে, খুব। ওর দু’পা তোজোর চার পা বলে ও খুব একটা মন খারাপও করে না। তোজো ঝোলা ঝোলা কান আর লোমশ লেজ নিয়ে কী সুন্দর ওর সাথে খেলে।

উফফ, পরমা মাসি কোল থেকে কখন নামবে, তোজোও চেঁচাতে শুরু করে দিয়েছে। এই যে নামিয়েছে, এইবার হবে মজা! দাদু, দিদুন, ঠাম, এদের দিকে একনজরে আড়চোখে একবার দেখে খেলা শুরু করলেন কুটলুবাবু।

**********

কুটলুদের এই ফ্ল্যাটটা মোটামুটি নতুনই বলা চলে, বছর চারেক আগে নিজেদের শরিকি বাড়ি ছেড়ে বালিগঞ্জে উঠে এসেছে রণদীপরা। আড়াই বছর আগে কুটলু হলো। 

ড্রয়িং রুমটা মোটামুটি বড়ই। এই ঘরের সাথেই লাগোয়া বারান্দা, আর এই ঘরেই বেশীরভাগ সময়টা কাটে কুটলুর। সকালের থেকে এই বিকেলটাই বেশী পছন্দ ওর। কি সুন্দর সবাই একসাথে সোফায় বসে গল্প হয়, আড্ডা চলে, দাদুর বন্ধু, ঠামের বন্ধু, এই যেমন আজ দিদুনরা এসেছে, তোজো এসেছে। কেউ না কেউ আসতেই থাকে। তাদের সাথে হেসে খেলে, নরম সোফার উপর লম্ফ-ঝম্ফ করে, খোলামেলা এই ড্রয়িংরুমে কেটে যায় ওর। একটা ঘর দাদু ঠামের, আরেকটা ওর মা বাবার। পরমা মাসিও খুব ভালবাসে কুটলুকে। কুটলুর জন্যই তো পরমা মাসিকে রাখা।

খেলতে খেলতেই দাদুদের গল্প শুনতে থাকে, কিংবা টিভির খবর শুনতে থাকে ও। টিভিতে গান চালালেই ভাল লাগে, কিন্তু দাদু খালি খবর শোনে, আর ঠাম্মা চালায় সিরিয়াল, ধ্যুর।

-“নাকটা পুরো রণ-র মতো হয়েছে, একদম টিকালো, তাই না?”

-“হ্যাঁ, চোখটা, গায়ের রংটা শ্রী-র মতো, চুলটাও। কী সুন্দর রংখানা ছিল আমাদের শ্রী-র।”

-“তা যা বলেছেন, ওদের দুজনকে দেখে সমস্ত আত্মীয় বলেছিল আমায় বারবার, দারুণ মানিয়েছে দুজনকে। চলেও গেল দুজন একসাথে। এখন এই কুটলুর মধ্যেই তো ওদের দুজনকে খুঁজি। হাসিটা একদম রণ-র মতো। ওর হাসি, ওর তাকানো, ওর হাঁটা, ওর বায়না করা, এই সব নিয়েই তো বেঁচে আছি। হুবহু রণ-র মতো। আর যে কটা দিন মা-কে পেল,বাবার থেকে তো মা ন্যাওটাই বেশী ছিল। ওই কী যেন বলে, মামা’জ বয়। সবসময় ছেলের মা ছাড়া চলে না, মা-ও নার্সিং হোম থেকে ফিরেই হাতমুখ ধুয়ে – “ছেলে কই, ছেলে কই।”

-“মনে আছে, রণদের থানায় সেদিন এমার্জেন্সী ছিল, কী খারাপ অবস্থা তখন, ছেলেকে তো সময় দিতে পারত না অত। সেদিন কতবার ফোন করেছিল, আর ছেলেও সেইদিনই। বাবার জন্য সে কী কান্না সেদিন। পরদিন ভোরে বাবা থানা থেকে ফিরলো, তবে এই ছেলের কান্না থামল।”

-“কুটলু টাকে তো দেখেই রাখি, কিন্তু এই টুকু দুধের শিশু,এক বছর হয়ে গেল হারিয়েছে মা বাবাকে, মা বাবার অভাব কী পূর্ণ করা সম্ভব? জানি না। খবরটা সরিয়ে দিন বেয়াই মশাই, এই জঘন্য রোগ অনেক কেড়ে নিয়েছে আমাদের। আর শুনতে ইচ্ছে করে না।বহুদিন তো হলো|”

চ্যানেল ঘুরিয়ে দিলেন, অরুণবাবু।

-“নিজেদের কাজের জন্য, মানুষের জন্য নিজেদের জীবনটাও দিয়েছিল আমাদের রণ, শ্রী-র মতো কত ছেলে মেয়ে, তাও মানুষের চোখ খুলল না। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে ওরা সবার সেবা করে গেল জীবন দিয়ে, কী পেল? মানুষ নিজেদের মধ্যে হিংসা করতেই ব্যস্ত, জাতপাত কুসংস্কার, মৃত্যু ঘন্টা না বাজা অবধি কটা মানুষের খুলল চোখ?”

-“এই নরক ওদের জন্য নয় বেয়াই মশাই। ওরা যেখানেই আছে ভালো আছে, কুটলুকে যেন ওর মা বাবার মতো বড় মনের মানুষ করতে পারি।”

কুটলু আপন মনে খেলছে, দেওয়ালে মা বাপির ফটো দেখতে দেখতে, তোজোর সাথে। এই তো, আবার পাচ্ছে মা-মা গন্ধটা।

তুলিকা রায়ের কলমে দুটি ভিন্ন স্বাদের সেরা উপন্যাস একসাথে মাত্র ৯৯/- টাকায় -

Share with

এরকম আরো কিছু গল্প

মুক্তি

বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে হয়ে গেল, আকাশ তখন থেকে ঠায় বসেই রয়েছে ঘাটে। এখন বাঁধানো ঘাট থেকে করিডোর হয়ে বাবা বিশ্বনাথের মন্দিরে পুজো দেওয়া অনেকটা সহজ

Read More »

বন্ধু হবি চল

বাক্সপেটরা নিয়ে স্টেশনেই বসে ছিল নয়না, বৃষ্টি পড়েই চলেছে, মুষলধারায়। বাবা বলল আরেকটু অপেক্ষা করতে, এত বৃষ্টিতে তো ছাতাও হার মানবে, আর বেরিয়ে রাস্তাও অজানা

Read More »

ক্লিক

।।১।। -“মালিনী, কালকের মিটিংটা কখন ফিক্স করেছ? -“ম্যাম, সকাল ১১টা।” -“ওকে, কনফার্মেশন পেয়ে গেছ?” -“ইয়েস ম্যাম।” -“ওকে গুড। আর।।। এক মিনিট।।।” টেবিল থেকে ফোনটা তুলে

Read More »

শিক্ষা

।।১।। দাপুটে, বদরাগী, মেজাজি এই সব কটা বিশেষণই বেশ ভালো যায় মিসেস বোসের সাথে। রেণুকা বোস আর অমরনাথ বোস সানফ্লাওয়ার এপার্টমেন্টে ১২০০ স্কোয়ারফিটের ফ্ল্যাট 2c

Read More »

বিদায়

।। ১।। রীতিমত জোর করেই নন্দিনীকে পাহাড়ে নিয়ে এলো সঙ্গীতারা। আসার ইচ্ছে তো ছিল না ওর একদমই, শরীর সাথ দিলেও মনটা কোনোভাবেই সাথ দিচ্ছে না।

Read More »

মামাবাড়ি

।।১।। একবার নিজের ঘড়িটা স্টেশনের ডিজিটাল ঘড়ির সাথে মিলিয়ে নিল মিনি, সময় তো হয়ে গেছে। উল্টো দিকের দুটো মেট্রো এসে গেল কিন্তু এদিকের মেট্রোর কোনো

Read More »

Share with