শিকড়

||১||

ইসস, কী করছো, কেউ দেখে ফেলবে তো, ছাড়ো না |” মৈনাক-এর বাহুবন্ধন থেকে আপ্রাণ নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছিল মধুপী | ততক্ষণে সিঁদুর খেলার আসর থেকে একমুঠো সিঁদুর নিয়ে মধুপীর গালে, কপালে, সিঁথিতে পরম আদরে মাখিয়ে দিয়েছে মৈনাক | মাত্র তিনমাস যেখানে বিয়ের বয়স, সেখানে এমন খুনসুটি হবে, এ আর আশ্চর্য কী |

“ও বৌদি, তাড়াতাড়ি এস, কোথায় গেলে”-ছুটকির ডাকে একলহমায় মৈনাকের বাঁধন ছাড়িয়ে দৌড়াল মধুপী | দালান সিঁড়ি পেরিয়ে, সোজা একতলায়, দুর্গাদালানে | নতুন বৌমা বলে কথা, পুজোর জায়গায় না থাকলে হয় নাকী |

***************

পায়রার ডানা ঝাপটানোর শব্দে অতীত থেকে বর্তমানে ফিরল মধুপী সিংহরায়, এই সিংহরায় বাড়ির বড় বৌ | অন্যমনস্ক ভাবে হারিয়ে গিয়েছিল অতীতের পাতায়, আজও পুজো দোর গোড়ায়, তবে বয়সটা এখন ২৫ নয়, ৫৫, কেটে গেছে দীর্ঘ ৩০টা বছর | তবু এই বাড়িতে এলেই মনে হয়, সেই নতুন বিয়ের গন্ধ মাখা ঘরগুলোর আনাচে কানাচে, কত স্মৃতি, কত ভালবাসা, ভালবাসার মানুষটার সাথে এই বাড়িতে এলেই তো সেই সুবাসটা পাওয়া যায়, ভালবাসার গন্ধ ছড়ায় বনেদী বাড়ির ইটগুলো, শহুরে ফ্ল্যাটে সে সব কোথায় |

||২||

বর্ধমানের সিংহরায় বাড়ি | একসময়ের আভিজাত্য, ঔজ্জ্বল্য নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা এই বিশাল বনেদী বাড়িটা আজ একলা দাঁড়িয়ে | পুজো উপলখ্যে বাড়ির ছেলে, মেয়ে, বৌ, নাতি, নাতনীদের সমাগম হলেও বছরের বাকী দিনগুলো, বিশ্বাসী রামু, জবা, শিউলিকে নিয়েই কেটে যায় অনুপমা দেবীর | অনুপমা সিংহরায়, মৈনাক সিংহরায়ের মা | মৈনাক আর গৈরিক, দুইভাই, দু’জনেই আপাতত কর্মসূত্রে বাইরে | ছুটকি মানে একমাত্র মেয়ে, সেও কর্মসূত্রে আপাতত বাইরেই, পুজোর সময় প্রতি বছরের মত এবারও সবাই হাজির | এই একটা সময় বাড়িটা গমগম করে, অনুপমাদেবীর প্রতীক্ষার অবসান হয় |

**************

আগেকার দিনের বনেদী বাড়ি যেমন হয় আর কী, দাবার ছক মেঝে, উঠোন, দুর্গাদালান, কড়ি কাঠের ছাদ, জানলায় খড়খড়ি, কাঠের আসবাব, বাড়ির হল ঘরে ঝাড় লন্ঠন, সামনের ফাঁকা সবুজ মাঠটা, ছাদের কত বাহারী ফুলের টব, এই সব মিলিয়ে পুরোনো দিনের আমেজ আর গন্ধে ভরপুর এই সিংহরায় বাড়ি | কিন্তু এই ঘ্রান নেওয়ার জন্য আগে লোক থাকলেও এখন আর থাকে না, তাই কাল সন্ধেতে সকলে মিলে যখন মুড়ি খাওয়া হচ্ছিল, ঠিক তখন, অনুপমাদেবীর সামনেই কথা উঠেছে প্রোমোটারির | আজ ষষ্ঠী, সবাই প্রচন্ড ব্যস্ত, তাই প্রসঙ্গটা এই মুহূর্তে অন্তত স্থগিত |

||৩||

মহাষ্টমীর অঞ্জলি শেষে সবাই একটু হালকা মেজাজে | মৈনাক মা-র ঘরের সামনে দিয়ে যাচ্ছিল, নীচে সন্ধিপুজোর আয়োজন শুরু হবে একটু পরই | ভোগের আয়োজন চলছে | মা-এর ঘরটার সামনে থমকে দাঁড়াল মৈনাক | অনুপমাদেবীর বয়স এখন প্রায় ৮০, এই বয়সেও ভোরে উঠে নিত্যদিন পুজো আহ্নিক, বাগানে ফুল তোলা এগুলো ঠিক করেন, যদি না খুব শরীরটা ঝামেলা করে | বয়স হয়েছে তো, চোখটা লেগে গেছল, চশমাটা চোখেই, হাতে কিছু একটা ধরা, স্মিত হেসে ঘরে ঢুকল মৈনাক | আগেকার দিনের তরিওলা পালঙ্ক, গরাদের ফাঁক দিয়ে শরতের নরম রোদ পড়ছে ঘরের মেঝেয় | অনুপমাদেবীর ঘরটা দক্ষিণ মুখ, আলো বাতাসটা খুব সুন্দর খেলে এখানে | মায়ের চোখ থেকে চশমাটা খুলে, মা-র হাত থেকে বইটা নিতে গিয়ে দেখল আরে এটা তো অ্যালবাম, এই মোটা, দাদু খুব শখ করে বানিয়েছিলেন, সেই কবেকার ফটো আছে | দাদু খুব সৌখিন মানুষ ছিলেন, নাতি নাতনীদের শৈশবটাকে ফ্রেমবন্দি করে রেখেছিলেন বড়ো সুন্দর করে | অ্যালবামটা নিয়ে ধপ করে মাটিতেই বসে পড়ল উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা মিঃ মৈনাক সিংহরায়, শৈশবের টুকরো স্মৃতিগুলো হাতছানি দিয়ে ডাকছে যে | অ্যালবামটার উপর হাত বোলাচ্ছিল মৈনাক, কী সুন্দর সৌখিন কাজ অ্যালবাম-এর পাতায় পাতায় | ছবিগুলো হয়তো সাদাকালো কিন্তু এর স্মৃতিগুলো বড্ড রঙ্গিন, দেখতে দেখতে হারিয়ে যাচ্ছিল মৈনাক | ছাদে একবার খেলতে খেলতে গৈরিক-এর হাঁটু কেটে গেছল, সেইদিন দাদু নিজে হাতে নাতিকে খাইয়ে দিচ্ছে, সেটা অব্দি ফ্রেমবন্দি | নিজের অজান্তেই শিশুর মত হেসে ফেলল মৈনাক | কত কত স্মৃতি, পাতা ওল্টাতে ওল্টাতেই রোগাটে গড়নের মেয়েটার ছবিতে চোখ আটকাল ওর | কত খুঁজেছে ছবিটা, পায়নি, এখানে এভাবে পাবে ভাবেনি, এটাই মৈনাকের দেখা মধুপীর প্রথম ছবি, যেটা দেখে সেইসময় একটা যুবকের মনে আলোড়ন তুলেছিল হেলায় এই রমণী | নিজের মত জানাতে একটা দিনও সময় নেয়নি মৈনাক, নিজের দীঘল চোখে মধুপী বেঁধেছিল মৈনাকের মন | তারপর বিয়ে, বৌভাত, ওদের নতুন সংসার, ওদের ভালবাসা, এসব কিছুর সাক্ষী এই বাড়ির প্রতিটা ইট, এই…..এই ঘরটাতেই তো বিয়ের পর প্রথম এসে ওদের আশীর্বাদ হয়েছিল | ঐ জায়গাটায় ওরা দু’জন পাশাপাশি একসাথে বসেছিল | এই বাড়িটায় এসে ওদের প্রথম জীবনের ভালবাসার অনেক মূল্যবান স্মৃতি কেমন পরপর ভিড় করছিল মৈনাকের মনে | কতদিন ভালভাবে মধুপীর সাথে কথা বলেনি ও, সবসময় শুধু দৌড়, দৌড় আর দৌড় | আজ কর্মজীবনের শেষ লগ্নে এসে হিসেব করতে ইচ্ছে করছে যে কী পেলাম আর কী হারালাম |

এলোমেলো কথাগুলো ভাবতে ভাবতে টনক নড়লো ছেলের ডাকে,”বাবা নীচে এস”, অনুপমা দেবীরও তন্দ্রা কেটে গেছে, ছেলেকে অ্যালবাম হাতে পায়ের কাছে বসে থাকতে দেখে খানিক অবাক-ই হলেন, তাই জিজ্ঞেস করলেন,”কী হয়েছে? কিছু বলবি? বাড়ি বিক্রির ব্যাপারে কিছু?”

মা-এর বলা প্রশ্নগুলো আজ কেমন বেসুরো লাগল মৈনাকের কানে, এরকম আগে মনে হয়নি | যেন বাড়ি বিক্রি টা মা মন থেকে মেনে নিতে পারছেন না, সেটা মানুষটার চোখের ভাষায়, কথার সুরে স্পষ্ট, তবু নিজের মনের কষ্টটা আড়াল করার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন আশি বছরের এই বৃদ্ধা | মৈনাক কথা না বাড়িয়ে নীচে চলে গেল |

||৪||

মহানবমীর অঞ্জলি দেওয়া এই শেষ হলো | বাড়িতে ভর্তি লোকজন | মৈনাকের পিসির, তাদের পুরো পরিবার, জ্যাঠা, কাকারা, মামারা, তাদের পরিবার সবাই আসেন পুজোতে একবার হলেও, এই সময়টা সারাবছর খাঁ খাঁ করা প্রাসাদপম বাড়িটা গমগম করে |

**************

আজকের দিনটা ছুটকি মানে ঐশী, এবাড়ির একমাত্র মেয়ে, মৈনাক গরিকের ছোট বোন, ও একটু একাই থাকতে চায় | কেউ তাই বিরক্ত করে না ওকে, এই দিনেই তো সে মানুষটা… | বসার ঘরের জানলা দিয়ে সোজাসুজি দেখা যেত, অমিতের পড়ার ঘর | জানলা দিয়ে চোখাচোখি, আলতো হাসির সাথে সাথে কখন যে মনটাও আদান প্রদান হয়ে গেছিল, দু’জনেই বুঝতে পারেনি | এখনকার মত, I love you বলে তথাকথিত প্রেমের বহিঃপ্রকাশও করতে হয়নি | বিকেলে অমিতের ঘুড়ি ওড়ানো, ওর ভাইপো ভাইঝিদের নিয়ে খেলা, ওর উদ্বাত্ত কন্ঠে কবিতা পাঠ এই সবকিছু শুনতে পড়ি কী মরি করে ঐশী যেখানেই থাকত, ঠিক ঐ সময়টা বাড়ির ছাদে পৌঁছে যেত |

অমিতের জন্মদিনটাও ছিল দুর্গানবমী, আর…..|

চাকরি পেয়ে অসমে পোস্টিং ছিল ওর | কথা দিয়েছিল ওখানে পৌঁছে টেলিফোন করবে, তখন তো মোবাইল ছিল না, চিঠি-ই ভরসা, আর একটু অবস্থাপন্ন লোকেদের বাড়ি এই টেলিফোনের সুবিধা ছিল | পুজো শুরু হয়েগিয়েছিল, ফোন আসার সময়ও হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু মনটা সেদিন সকাল থেকেই বড্ড আনচান করছিল ঐশীর, ফোন এসেছিল, কিন্তু অমিতের মৃত্যুর খবর বয়ে এনেছিল টেলিফোনের ক্রিং ক্রিং আওয়াজটা |

হঠাৎ দমকা হাওয়ায় দরজার পাল্লাটা ধমাস করে পড়তেই যন্ত্রণার অতীত ভাবনাটা ভাঙল ঐশীর | এই সেই ঘর, ঐ টেলিফোনটা এখনও আছে, ঐ টেলিফোনেই প্রথম অমিতের গলার আওয়াজটা শুনেছিল ঐশী | তখন তো এতো সহজে দেখা করাও যেত না | লুকিয়ে লুকিয়ে ফোনে প্রেমের ফিসফাস, জানলার গরাদের ফাঁক গলে চুপিচুপি দেখা এই সব-ই জড়িয়ে আছে এই ঘরটাকে ঘিরে, এই বাড়িটাকে ঘিরে | নাহ, ঐশী আর বিয়ে করেনি, এই দিব্যি আছে নিজের মতন |

**************

মিঃ চৌরাসিয়াই বাড়িটা প্রোমোটিং-এর প্রস্তাব দিয়েছেন | তাই, ভাইবোন মিলে নিজেরাই মত দিয়েছে ওরা | আচ্ছা, এই বাড়িটা না থাকলে অমিতের সাথে কাটানো একমাত্র সম্বল ঐ স্মৃতিগুলোও আর থাকবে না, সেই ঘর, জানলার গরাদ, ছাদ, টেলিফোনটা এই সবকিছুর শেষ হওয়ার সাথে সাথে স্মৃতিগুলোও শেষ হয়ে যাবে | আর তো কোনদিন এই চেয়ারটায় বসে ভাবতে পারবে না ঐশী, এইখানটা…. ঠিক এইখানটাতে বসেই প্রথম ঘুরে তাকিয়েছিল ঐশী, একুশের যুবকের দিকে, তার উদ্বাত্ত কন্ঠের কবিতা শুনে তাকাতে বাধ্য হয়েছিল | দিনের পর দিন অমিত ওর পড়ার ঘরে নাটকের রিহার্সাল করত, আর স্কুল পড়ুয়া ঐশী লুকিয়ে লুকিয়ে দেখত, ঠিক এই জানালাটার ফাঁক দিয়ে | সব তো হারিয়ে যাবে…..

“এই ছুটকি একবার নীচে আয় তাড়াতাড়ি ” | বৌদির ডাকে নিজেকে টেনে তুলল ঐশী, নীচে গেল, পড়ে রইল সে ঘর, সেই জানলা, সেই টেলিফোন, নরম রোদকে সঙ্গী করে, একা |

||৫||

মায়ের বিসর্জনের বিদায়ী ঢাকের সুর, সিঁদুর খেলার লাল সিঁদুরের আভায় রঙ্গিন দূর্গাদালান | বিসর্জনের যাত্রায় সবাই মিলে একসাথে ঘাটে যাওয়া, প্রণাম, কোলাকুলি, মিষ্টি বিতরণ শেষে মনটা একদম অন্যরকম হয়ে গেছিল, মৈনাকের | সারা বাড়ি আলোয় আলো, কিন্তু মা সব আলো নিয়ে চলে গেলেন, বাড়ির ছাদে দাঁড়িয়ে ছিল একলা মৈনাক | মনটা কেমন ভারী লাগছে, কেন কী জানি, হঠাৎ পিঠে হাত পড়ল কার | ফিরে তাকাল, গৈরিক |

-“এখানে একলা দাঁড়িয়ে? শেষবারের মত নিজের বাড়ির পুজোর আমেজটা নিয়ে নিচ্ছিস?”

গৈরিকের প্রথম থেকেই এই বাড়ির প্রোমোটারি নিয়ে মত ছিল না, বিয়ে-থাও করেনি, ঝাড়া হাত পা | কিন্তু, বাড়িটার প্রতি অমোঘ টান এই মানুষটার | শিল্পী মানুষ, কাজের জন্য কলকাতা থাকলেও মাসে অন্তত একবার আসবেই | মা-কে বারবার ছেলে মেয়ে নিজের কাছে নিয়ে যেতে চাইলেও অনুপমাদেবী যাননি, এই বাড়িটাকে প্রাণ দিয়ে আগলে রেখেছেন | ছোট ছেলে গৈরিকের মানসিকতা, চিন্তাধারাও অনেকটাই মা-র মতন |

গৈরিকের মুখে ‘শেষবার’ কথাটা শুনে কীরকম একটা অনুভূতি হলো মৈনাকের, বলে বোঝানো সম্ভব না, কিন্তু আর যাই হোক, ভাল নয় অন্তত |

গৈরিক আবার বলল,”মা কী চায় একবারও জানতে চেয়েছিল? মা কিন্তু বাড়িটা প্রাণাধিক ভালবাসে, মা কিন্তু ভাল থাকবে না | আর আমাদের এই বছরে একটিবার সবাই এক হওয়া, আমাদের বাড়ির এত বছরের পুজো, সব তো শেষ হয়ে যাবে | আমাদের সামর্থ্য না থাকলে আমি কিছু বলতাম না, কিন্তু যখন সেক্ষেত্রে আমরা প্রত্যেকেই সুপ্রতিষ্ঠিত, তাহলে এই শিকড়টাকে কীসের লোভে উপড়াচ্ছি বলতে পারিস? ঐতিহ্য, রুচি, আভিজাত্যকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা তো সকলেরই করা উচিত, অন্তত ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য |”

থামল গৈরিক, মৈনাকের মনের মধ্যে চলা দোলাচল, দ্বন্দকে গৈরিক যেন একলহমায় শেষ করে দিল | মনে মনে এই কথাগুলোই কেউ জোর দিয়ে বলুক, চাইছিল না কী মৈনাক?

****************

(এক বছর পর)

-“এই ছুটকি, তাড়াতাড়ি আয়, অঞ্জলি শুরু হয়ে গেল তো |” …….

নাহ, সিংহরায় বাড়ি এক-ই আছে | নিজেদের শিকড়টাকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচিয়ে ফেলেছে এই বাড়ির সকলে মিলে, একসাথে | টাকাটা হয়তো অনেককিছু, কিন্তু সব নয়, এটা তারা বুঝেছে | সাধ্য যখন আছে, উপায় যখন আছে, তখন থাকুকই না এই বনেদীয়ানা, এই দূর্গাদালান, এই ঝাড় লন্ঠন, এই হাসি আহ্লাদ, এই এক হওয়া | মাকে বাড়ি বিক্রি করে নিজের কাছে নিয়ে যাওয়ার থেকে রিটায়ারমেন্ট-এর পর এই নিজের পুরোনো ভিটেতে ফিরে এসে মৈনাকও এখন মানসিকভাবে অনেক বেশি সজীব যেন |

বিসর্জনের দিন সবার- গ্রূপ ফটোটায় হাসি মুখটা যেন সবটা বুঝিয়ে দিয়ে গেল, হাসিটা চোখ অবধি পৌঁছাচ্ছিল সবার, আর সবার উপর মা দুগ্গার হাসি মুখটাও যেন জ্বলজ্বল করছে |

তুলিকা রায়ের কলমে দুটি ভিন্ন স্বাদের সেরা উপন্যাস একসাথে মাত্র ৯৯/- টাকায় -

Share with

এরকম আরো কিছু গল্প

মুক্তি

বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে হয়ে গেল, আকাশ তখন থেকে ঠায় বসেই রয়েছে ঘাটে। এখন বাঁধানো ঘাট থেকে করিডোর হয়ে বাবা বিশ্বনাথের মন্দিরে পুজো দেওয়া অনেকটা সহজ

Read More »

বন্ধু হবি চল

বাক্সপেটরা নিয়ে স্টেশনেই বসে ছিল নয়না, বৃষ্টি পড়েই চলেছে, মুষলধারায়। বাবা বলল আরেকটু অপেক্ষা করতে, এত বৃষ্টিতে তো ছাতাও হার মানবে, আর বেরিয়ে রাস্তাও অজানা

Read More »

ক্লিক

।।১।। -“মালিনী, কালকের মিটিংটা কখন ফিক্স করেছ? -“ম্যাম, সকাল ১১টা।” -“ওকে, কনফার্মেশন পেয়ে গেছ?” -“ইয়েস ম্যাম।” -“ওকে গুড। আর।।। এক মিনিট।।।” টেবিল থেকে ফোনটা তুলে

Read More »

শিক্ষা

।।১।। দাপুটে, বদরাগী, মেজাজি এই সব কটা বিশেষণই বেশ ভালো যায় মিসেস বোসের সাথে। রেণুকা বোস আর অমরনাথ বোস সানফ্লাওয়ার এপার্টমেন্টে ১২০০ স্কোয়ারফিটের ফ্ল্যাট 2c

Read More »

বিদায়

।। ১।। রীতিমত জোর করেই নন্দিনীকে পাহাড়ে নিয়ে এলো সঙ্গীতারা। আসার ইচ্ছে তো ছিল না ওর একদমই, শরীর সাথ দিলেও মনটা কোনোভাবেই সাথ দিচ্ছে না।

Read More »

মামাবাড়ি

।।১।। একবার নিজের ঘড়িটা স্টেশনের ডিজিটাল ঘড়ির সাথে মিলিয়ে নিল মিনি, সময় তো হয়ে গেছে। উল্টো দিকের দুটো মেট্রো এসে গেল কিন্তু এদিকের মেট্রোর কোনো

Read More »

Share with