-“মুন তোকে কতবার ঠিক বলতে হবে, ব্যাগটা গোছাচ্ছি, আর কী কী নিবি তুই দেখে নিবি আয় ।”
মা-এর গলা খাঁকারিতে নড়ে চড়ে বসলাম একটু, হাতের ‘ফেলুদা’টা রেখে। সাসপেন্স তখন সবে জমে উঠেছে, চারমিনার ধরিয়ে প্রদোষ মিত্র তখন সবে মগজাস্ত্রে ধোঁয়া দিয়ে জালটা ছাড়াতে শুরু করছে, আর তখনই মাকে ডাকতে হলো । ব্যাজার মুখে উঠলাম অবশেষে । হেতু? হেতু হলো আমরা সপরিবারে বেড়াতে যাচ্ছি। বেশি দূর না, সিঙ্গুর । আমাদের অনেক জ্ঞাতি ওখানে থাকেন, একবার গেলে একবারে সবার সাথে দেখা সাক্ষাৎ, আড্ডা সবই হবে । এই হলো গল্প, একটু হাওয়া বদল আরকী ।
পৈতৃক বাড়ি কলকাতায়, সেই জন্য কলকাতার ইট কাঠ পাথরের বাইরে বেরিয়ে গ্রাম বাংলার কাছে যাওয়া সবসময়ই লোভনীয় । আমি কখনো সেভাবে গ্রাম মফস্বল কোনটাই দেখিনি, তাই, স্বভাবতই খুব এক্সসাইটেড।
ট্রেন থেকে নেমে দাদা আনতে এসেছিল আমাদের । গৃহপ্রবেশ-এর সময়ও আসা সম্ভব হয়নি আমার পরীক্ষার জন্য, তাই সবমিলিয়ে এই প্রথম আমার গ্রামে আসা ।
যাই হোক, নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছলাম বড় জ্যেঠুর বাড়ি । আমি ছোট হওয়ার সুবাদে আমার আদরটা সব জায়গাতেই একটু বেশি । গিয়েই জ্যেঠু, জ্যেঠিমা, দাদা, দিদির আদর আর তার সাথে মাংস পোলাও, বিরিয়ানি, লস্যি সবই খাচ্ছি । জ্যেঠু এখানে নতুন বাড়ি করা ইস্তক এই প্রথম আসা, তাই জায়গাটা নতুন । খেয়ে দেয়ে খানিক ঘুম দিয়ে বেরিয়ে পড়লাম ঘুরতে । শহরে থাকার জন্য গ্রাম বাংলাটাকে দেখার লোভটা আর সামলাতে পারলাম না, তাই সবুজের উদ্দেশ্যে হাঁটা লাগলাম ।
খাবার পর একটু কোল্ডড্রিঙ্কস খেতে বড্ড ইচ্ছে করছে । ঐ তো সামনের দোকানটায় আছে মনে হচ্ছে, ভেবেই এগোলাম সেদিকে । গোল বাঁধল টাকা দেওয়া নিয়ে । আমার কাছে ১০০ টাকার নোট আর দোকানদার বেচারার খুচরো দেবার টাকা নেই । তর্কাতর্কির পর্যায়ে যাচ্ছিল গোটা ব্যাপারটা; থামল অবশেষে আরেকজনের হস্তক্ষেপে । উফফ, কী দেখতে! জাস্ট দারুন, অসাধারণ গ্রীক ভাস্কর্যের অধিকারী সেই মানুষ, পুরোদস্তুর সুপুরুষ যাকে বলে, আর চোখদুটো, ওহ! আমি মনে হচ্ছে পাগলই হয়ে যাবো, এতো সুন্দর কেন লাগছে আমার ওকে? হাঁ করে কতক্ষন তাকিয়েছিলাম জানি না, হুঁশ ফিরল মিঃ হ্যান্ডসামের কথায় । কখন সে কথা বলে টাকা মিটিয়ে দিয়েছে খেয়ালই নেই, আসলে তাকে দেখতেই এতো ব্যস্ত ছিলাম ।
“তুমি মুন তো?” সামনের সুদর্শন প্রশ্নটা ছুঁড়ল আমার দিকে । আমার তো তখন ভিরমি খাওয়ার অবস্থা, “ওহ মাই গড, ও আমার নাম জানে?”
যেখানে অবাক হওয়ার কথা সেখানে আমি তখন ঘোরের মধ্যে । আমি কিছু বলার আগেই সে বলল,” তোমার ফটো দেখেছি অনেক, পিউদির কাছে । তুমি এগোও, আমি যাচ্ছি পিসির বাড়ি ।”
হোয়াট? পিসি? ওহ্হো, এই তার মানে জ্যেঠিমার ভাইপো, রুদ্র? না, নামটুকুই জানতাম শুধু, দেখা, আলাপ, পরিচয় কোনটাই হয়নি ।
একরাশ ভালো লাগা নিয়ে ফিরছিলাম আমি, উফফ, কতদিনপর একটা ভাল দেখতে ছেলে দেখলাম, তাও কিনা সে আমার পরিচিত, যদিও তাকে চিনতাম না, তাও…। খুব ভালো লাগছিল আমার ।
সিঙ্গুরে কাটানো ঐ দুটো দিনেই আমি যে কত আকাশ কুসুম স্বপ্ন ভেবে ফেলেছি, যে কী বলবো; রুদ্রু-র কথা বলা, আমার দিকে তাকানো, ঠাট্টা ইয়ার্কি এইসব কিছুই আমার ভীষণ রকম ভালো লাগছিল । আমি প্রেমে পড়ছিলাম তার মানে । কীই বা বয়স, এই ১৫ বছর বয়সে কীরকম মানসিক স্থিরতা থাকে, আর চাঞ্চল্যই বা কীরকম থাকে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না । ওর ভাবুক ভাবুক চোখ, ব্যাকব্রাশ চুল, গালের হালকা দাড়ি, কী দারুন করে কথা বলা, এই সবকিছু নিয়েই মেতে ছিলাম আমি ।
বাড়ি ফিরলাম দু’দিন পর । মনটা খারাপ লাগছিল, আর এখনকার মতো আমাদের সময় স্কুল পড়ুয়ার হাতে মোবাইলের বাড়বাড়ন্ত তখন একদমই ছিল না ।
ও হ্যাঁ বলাই হয়নি, রুদ্র আমার থেকে বেশ খানিকটা বড়, বছর পাঁচেক হবে, কিন্তু বয়সে এতটা বড় বলে মনে কোনো ভয় কোনদিনই কাজ করেনি ।
***********
এর কিছুদিন পর পরই, আমরা পরিবারের সকলে মিলে বেড়াতে গেছি পুরী। হ্যাঁ, সেখানে জ্যেঠিমার ভাইপো হওয়ার সুবাদে রুদ্রও গেছল । রুদ্র আর আমার মধ্যে অসম বন্ধুত্বটা ভালই গড়ে উঠেছে তখন, দুজন দুজনের সঙ্গও বেশ উপভোগ করছি, আর তার সাথে সাথে সমুদ্রও । ওকে যে আমার ভাল লাগতে শুরু করেছে, এটা ওকে কোনদিন বলা বা বোঝানো হয়ে ওঠেনি আমার, কিন্তু আমারও যেন মনে হচ্ছিল, আমি যা ভাবি আমি যা ফিল করি, ও-ও তাই করছে? বয়সটাও কম, ভাললাগার দমকা হাওয়ায় ভাসছিলাম আমি, “তোমার খোলা হাওয়া লাগিয়ে পাল… ” হ্যাঁ আমার অবস্থাটাও অনেকটা এই গানের মতোই । ওর আমাকে কেন্দ্র করেই অজস্র ফটো তোলা, আমি ঝাল খাব না খেয়াল করা, আমার হারানো রুমালটা, চুলের ক্লিপটা ওর উদ্ধার করে আনা, এই সব কিছুতেই আমি যেটা শুনতে চাই, আমি যেটা বুঝতে চাই, আমি যে স্বপ্নটাকে সত্যি হতে দেখতে চাই সেদিকেই ইঙ্গিত করছিল । পুরী থেকে ফেরার সময়ও সবার অলক্ষ্যে আমায়, শুধু আমায় নিয়ে তোলা অনেকগুলো ছবি একটা খামে করে দিয়ে গেছিল । না আর কিছুই বলেনি, শুধু পুরী থেকে বাড়ি ফিরে আসার পথে আমার মন খারাপের গানটা আগের বারের থেকে আরও বেশী তীব্রতায় বেজেছিল । কেন মন খারাপ? কী জানি, উত্তর আমারও অজানা।
।।২।।
মাতাল হাওয়ায় ভাসছিলাম আমি, তখনই খবরটা এলো, আমার দিদির বিয়ে ঠিক হয়েছে । মানে আমার জ্যেঠুর মেয়ের মানে আবার দেখা হবে, হ্যাঁ এটাই আমার মনে আসে প্রথম । কোন যোগাযোগ নেই, কোন নম্বর আদান প্রদান নেই, কোন শব্দ বিনিময় দেখা সাক্ষাৎ কিছু না । সামনে আমার মাধ্যমিক পরীক্ষা, পড়াশোনায় ডুবে ছিলাম, কিন্তু মনের ঘরে সে ছিলই – গোপনে যত্নে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর পরই বিয়েবাড়ির তোড়জোড় জোর কদমে চলছিল – কেনাকাটি, বাজার, শপিং সব কিছু । বিয়ের দিন দুই আগেই আমরা সবাই সিঙ্গুর পৌঁছে গেছিলাম । একবছরের উপর আসিনি এখানে, কোন এক অজানা কারনে জায়গাটাও আমার ভীষণ ভালো লাগতে শুরু করেছিল; পরিবেশটা, গাছগাছালি, ঘরবাড়ি, পুকুর, রাস্তা, পাখিগুলো সবটুকু সব। সকালের সূর্যটাকে মন ভরে গায়ে মাখা, কিংবা চাঁদনী রাতে সামনের পুকুরটার অপরূপ সৌন্দর্য্য, সবটুকুর মধ্যেই কেমন একটা নেশা ছিল। সবকিছুতেই ভাললাগা মিশেছিল অনেকটা, আমি প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিলাম, কিন্তু কেউ কিচ্ছু জানে না, রুদ্রও না । মন তখন একটা কথাই বলছিল, রুদ্রও হয়তো।।।।। কী জানি?
রুদ্র অনেকটা বদলে গেছে, আরও বেশী সুন্দর হয়ে গেছে যেন, চোখে আবার চশমাও নিয়েছে, আমি নিজের মধ্যে একটা পরিবর্তন লক্ষ্য করছিল, আমি আগে তো এত লজ্জা পেতাম না, এখন যেন একটু বেশিই লজ্জা পাচ্ছি।নিজের প্রতি একটু বেশী যত্নশীল – রুদ্র দেখে কী ভাববে এসবই মাথায় ঘুরছিল যেন ।
*************
পুরো বিয়েবাড়িতে রুদ্রর ক্যামেরার ফোকাস অনেকটাই আমার উপর ছিল আর এবারে আমি সেটা বেশ বুঝতে পারছিলাম, পেটের মধ্যে যেন অজস্র প্রজাপতি উড়তে শুরু করেছিল।
কতবার যে চোখে চোখে কথা হয়েছে, ওর মুখের হাসি, আমার লজ্জায় চোখ নামিয়ে নেওয়া এসব কিছুই আমাদের প্রেমের জালটা বুনছিল।
বিয়ের দিন রাত্রে, সব মিতে যাওয়ার পর ও আমার হাতটা ধরে একবারে ডেকেছিল শুধু। না, সেরকম কোন স্পর্শ নয়, নিতান্তই সাধারণ, কিন্তু আমার কাছে সাধারণ ছিল না, শিহরিত হয়েছিল কিশোরীর শরীর – মন।
চারপাশের আলো সানাই-এর মন মাতানো পরিবেশের মধ্যে ও আমায় যে কথাটুকু বলেছিল, তাতে আমার মনের প্রজাপতিগুলো নিমেষের মধ্যে বেরঙিন হয়েছিল, ধাক্কা খেয়েছিল সদ্য সজীব হওয়া স্বপ্নগুলো।
রুদ্র চলে যাচ্ছে, হায়ার স্টাডিজের জন্য; আর কিছুদিনের মধ্যেই বেরিয়ে যাবে। আমায় জানানোর জন্যই আজকের এই ডাকটা। কিচ্ছু বলতে পারিনি, মনের ভিতর হৃদপিন্ডটা দুমড়ে মুচড়ে গুঁড়িয়ে গেলেও মুখে বলেছিলাম, “ভাল থেকো।”
ও আশ্বাস দিয়েছিল, যোগাযোগ রাখবে, আবার দেখা হবে পরে। কিন্তু, আমি জানতাম আর কিছু হওয়ার হঁয়। আমার প্রথম ভালবাসার শেষটা আমি চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছিলাম, তাও মুখে হাসি ছিল।
ব্যস, রুদ্র চলে গেছল, আর আমিও ভুলে গেছলাম আমার জীবনের প্রথম পুরুষটাকে। কেউ কিচ্ছু জানতে পারেনি। ব্যাগের ভিতর যেমন দু’চারটে খুচরো প্রেমপত্র পড়ে বিবর্ণ হয়ে যায়, এটাও শেষ হয়ে গেছল।
স্কুল পেরিয়ে কলেজে ঢুকে রুদ্রকে ভুলে যেতে সময় লাগেনি বিশেষ, সত্যি এটাই। স্বীকার করতে দ্বিধা নেই, কলেজের বাতাসে ভেসে গেছলাম অবলীলায়। নতুন বন্ধু, নতুন জগৎ এসবের মাঝে আস্তে আস্তে নিজেকে গড়ে নিচ্ছিলাম অন্যভাবেই, তখনই আমার সামনে আসে অর্চিষ্মান। অর্চি আমার ক্লাসেরই সহপাঠী। সহপাঠী থেকে বন্ধু থেকে ভীষণ ভাল বন্ধু হওয়ার যাত্রাটা খুব সুন্দর ছিল। আস্তে আস্তে ওর সাথেই থাকা, ক্লাসে একসাথে বসা, যাওয়া আসা, আড্ডা, খাওয়া, বেড়ানো সবই ওর সাথে হচ্ছিল। ও-ই সর্বক্ষণের সঙ্গী, ওর সাহচর্য্যটা আমি সত্যি ভীষণ উপভোগ করছিলাম। আমি বুঝতে পারছিলাম অর্চি আমার মনে একটা পাকাপোক্ত জায়গা করে নিচ্ছিল, আর আমি তাতে সায় দিচ্ছিলাম।
************
অর্চি যখন প্রথম ওর মনের কথাটা জানায়, আমি হ্যাঁ বলতে দু’বার ভাবিনি, আর আমার ‘হ্যাঁ’ শুনে অর্চির চোখ মুখের অভিব্যক্তি আমি কোনদিন ভুলবো না। ওর চোখে খুশির ঝিলিক যে দেখেছিল, ওর মুখে যে হাসি আমি দেখেছিলাম, তা দেখে নিজের মনে একটা কথাই ভেবেছিলাম, এই মানুষটার মুখের এই হাসি কোনদিন ম্লান হতে দেখার ক্ষমতা আমার নেই।
আমি অর্চিকে ভালবেসে ফেলেছি, ভীষণ ভীষণ ভালোবাসি। ওর কথা বলার ভঙ্গি, ওর আচার আচরণ, ওর মিষ্টি খেতে ভালবাসা, ওর চুলটা ঠিক করার স্টাইল সবকিছুই আমি মুগধ হয়ে দেখতাম। ওর দিকে তাকিয়ে যেন ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে দেওয়া যায়।
ওর আর আমার একসাথে পথ চলাটা এক দুদিনের নয়, সারা জীবনের সিদ্ধান্ত, এটা দু’পক্ষের বাড়িতেও মেনে নেয় খুশি মনে। অর্চি খুব তাড়াতাড়ি চাকরি পায়, বেশ ভাল চাকরি, ওর জন্য ভীষণ খুশি ছিলাম আমি। আমাদের বিয়ের স্বপ্নটায় একটু একটু করে রং ধরতে শুরু করেছিল, কিন্তু পাশাপাশি একটা মন খারাপের গানও সুর ধরেছিল, অর্চি চলে যাচ্ছে, চাকরি সূত্রে অনেকটা দূরে। আড়ালে চোখের জল লুকিয়েছিলাম আমি, হাসিমুখে ছিলাম, বুঝতে দিইনি অর্চিকে, কিচ্ছু।
ও চলে গেল, অনেকটা দূরে। ভিডিওকলে, ফোনই একমাত্র ভরসা। যে জায়গা গুলোয় আমরা দেখা করতাম, তার পাশ দিয়ে গেলে থমকে দাঁড়াতাম, খুঁজতাম সেই মুহূর্তগুলোকে। খুব মিস করছিলাম ওকে, তখনই খবরটা এলো।
আমিও চাকরি পেয়েছি, তবে কর্মসূত্রে আমার পোস্টিংও বাইরে আর তার ফলে অর্চির সাথে আমার দূরত্বটা আরও খানিকটা বাড়ছে।
দুই বাড়ির সকলেই আমাদের অ্যাচিভমেন্টে ভীষণ খুশি। খুশি আমিও, আর আমার জন্য আমার থেকেও বেশী খুশি ছিল অর্চি। ও কর্মসূত্রে দিল্লী আর আমি ভাইজাগ। জীবন পাল্টাবে এবার বুঝতে পারছিলাম।
।।৩।।
ভাইজাগ শহরটা বেশ সুন্দর, পরিপাটি, সাজানো, একটা ফ্ল্যাট ভাড়া নিলাম রামকৃষ্ণপুরমে। বাবা মা আমার সাথে এসে সবটা সাজিয়ে দিয়ে গেছল। জয়েনিং-এর প্রথম দিন স্বভাবতই নার্ভাস। এইচ আর থেকে ফর্মালিটিজ-এর জন্য যে হাতটা বাড়িয়ে দিয়েছিল, সে আর কেউ না, রুদ্র। একমুহূর্তের জন্য থমকে গিয়েছিল আমার মনটা, সেই চেনা, পরিচিত মানুষটা আজ এতগুলো বছর পর আমার সামনে। আবার, সেই চোখ, সেই হাসি, সেই ব্যাকব্রাশ করা চুল, মিঃ হ্যান্ডসাম। কয়েক মুহূর্তের জন্য আমার আশপাশটা কেমন এলোমেলো হয়ে গেছল, সময়টা পিছিয়ে গিয়ে দাঁড়িয়ে গেছল সেই জায়গায় যেখানে কিশোরী মুন প্রেমের প্রথম স্বাদ পেয়েছিল এই মানুষটার দিকে তাকিয়েই…
শেষ অংশটি পড়তে নিচের ছবিতে ক্লিক করুন-