নাটকের মত

nataker mto bengali story alt image

||১||

“আরে হাঁ কর মা, কতক্ষন গাল ধরে বসে থাকবো?”, মেয়ে পুপুর উদ্দেশ্যে বললেন তনিমা দেবী, হাতে ভাতের থালা নিয়ে |

প্রত্যেক দিন পুপুর এই এক স্বভাব, কলেজে বেরবার আগে তাড়াহুড়ো করে শুধু একগাল দু’গাল খেয়ে পালানো |

“উফফ, আর পারছিনা মা, এমনিই লেট হয়ে গেল, আর না”, বলেই ব্যাগ পত্তর নিয়ে বেরলো পুপু মানে তিয়াসা |

তিয়াসা মা বাবার একমাত্র আদরের মেয়ে, কলেজের সেকেন্ড ইয়ার, কলেজে বেরনোর জন্যই এত তাড়াহুড়ো | পুপুর বাবার বড়বাজারে লোহার ব্যবসা, পুপুর মা গৃহবধূ, তবে একটি বুটিকও চালান, ভালোই চলে, সব মিলিয়ে বেশ স্বচ্ছল পরিবার বলাই বাহুল্য | সল্ট লেকে বাড়ি ওদের |

রাস্তায় বেরতেই ফোনটা বাজল ব্যাগের ভিতর | চরম বিরক্তি নিয়ে ফোনটা ধরল পুপু, ঐশিকের ফোন |

“বলো ঝটপট, তাড়ায় আছি |”, পুপু বললো ব্যাগটা সামলাতে সামলাতে |

-“হ্যাঁ, আপনার তো আর টাইম নেই, আমাকেই বারবার ফোন করতে হয়, তা আজ কলেজ ফেরত টাইম কী আপনার?”

-“হুম, বলতে পারছি না, আমি কলেজ গিয়ে বলি?”

-“যে আজ্ঞে ম্যাডাম, সাবধানে যাবে, আমি অফিস গিয়ে ফোন করছি |”, ফোনটা রাখল ঐশিক |

ঐশিক আর তিয়াসার সম্পর্কটা সেই ছোট থেকে, সম্পর্ক বলতে ঐশিক আর তিয়াসারা আগে একই পাড়ায় থাকত, সেই থেকে বন্ধুত্বের শুরু | ঐশিক-ই প্রথম বলে নিজের মনের কথা, পুপু আর না করেনি, ঐশিককেই ছোট থেকে ভাল বন্ধুর জায়গা দিয়ে এসছে | ঐশিক ওর থেকে বয়সে বড় খানিকটা, তাই বরাবরই ও-ই কেয়ারিং, দায়িত্ববান, এই ব্যাপারগুলো অনুভব করে এসছে তিয়াসা | ঐশিক ওকে প্রচন্ড ভালবাসে, সেটা বোঝে তিয়াসা | তাড়াহুড়ো করে কলেজে ঢুকল, ঐশিক এসএমএস করছিল, রিপ্লাই আর দিলো না পুপু | বসল বন্ধুদের পাশে, ক্লাস শুরু হয়ে গেছে |

***************

শর্বরী ম্যাম ক্লাস নিচ্ছেন, মন দিয়ে সবাই পড়া শুনছিল, পুপুর চোখ গেল সামনের বেঞ্চে, ঋষভের দিকে, ক্লাসে সবাই ওকে ঋষি বলেই ডাকে | পরনে সাদা পাঞ্জাবি, চোখে হাফরিম চশমা, ব্যাকব্রাশ চুল, লম্বা, ফর্সা, সুঠাম গড়ন, হালকা দাড়িতে ঋষভকে মারাত্মক সুন্দর লাগছিল | ঋষভকেই দেখছিল বারবার পুপু, না চেয়েও বারবার চোখ চলেই যাচ্ছিল ওর দিকে | ঋষভ পুপুর বেশ ভালো বন্ধু, তেমনি ভাল স্টুডেন্ট, গরীব ঘরের ছেলে হলেও চোখের স্বপ্নগুলো দারিদ্রতায় ঢাকা পড়েনি |

একবার অন্যমনস্কভাবে তাকাল পুপুর দিকে, ঋষভ | ঝট করে চোখটা নামিয়ে নিল পুপু, কেন এমন করল নিজেও জানে না, খালি লজ্জা লাগল হঠাৎ, যেন নিজের চোখ দুটো অবনতই ভাল, পাছে অনেক সত্যি কথা নিরাভরণ করে ফেলে বিশ্বাস ঘাতক চোখদুটো |

||২||

কলেজ থেকে বাড়ি ফিরতে আজ একটু দেরী হলো, বাড়ির কাছে আসতেই মনে পড়ল, আরে আজ তো ঐশিকের সাথে দেখা করার কথা ছিল পুপুর, ও তো ফোন করতে বলেছিল, ও তো কিছু জানায়ওনি ঐশিককে, এবাবা ! একদম ভুলে গেছে, ফোনটা বের করে দেখল অনেকগুলো মিসডকল আর মেসেজ | কী করবে বুঝতে না পেরে চুপচাপ বাড়িই ঢুকল আপাতত, বুঝিয়ে বলতে হবে | ঢুকতেই দেখল ঐশিক ওর মা বাবার সাথে চা খাচ্ছে খোশ মেজাজে | পুপু কী বলবে না বলবে বুঝতে না পেরে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল, খানিক ইতস্তত করতে করতে বলতে যেতেই ঐশিকই বলল, কী ব্যাপার ম্যাডাম? আপনাকে না পেয়ে বাড়িই চলে এলাম, দেখা হয়ে যাবে এখানে অন্তত | ঐশিকের স্বচ্ছ চোখদুটো পুপুর চোখের সাথে মিলতেই যেন পুপুর মনের ভিতরটা পড়ে ফেলতে পারে ঐশিক | পুপুর চোখের মণিদুটো যেন চঞ্চল হয়ে উঠল নিজেকে লোকাতে | ঐশিকের স্বচ্ছ, তীক্ষ্ণ চোখের দৃষ্টি থেকে কখনোই নিজেকে আড়াল করতে পারেনি পুপু |

“কী হয়েছে তোর?”,ঐশিক সোজাসুজি প্রশ্নটা করল |

-“কি কিছু না তো, তুমি কখন এলে, আমি আসলে একদম খেয়াল করিনি গো, আসলে….”

পুপুকে থামিয়ে ঐশিক বলল,”ঠিক আছে, ঠিক আছে, তুই আগে কিছু খা, কথা হবে তারপর |”, বলেই ঐশিক পুপুর মা বাবার সাথে গল্পে মাতল |

*************

…..সন্ধ্যেটা গল্পে, আড্ডায় কাটল পুপুদের, ঐশিককে পুপুর মা বাবা খুবই ভালবাসে, না খাইয়ে ছাড়লোও না | এত কিছুর মধ্যে পুপুর সাথে খুব বেশি কথা হলো না ঐশিকের | বারবার পুপুর দিকে তাকাচ্ছিল ঐশিক, জানে না কেন মনে হচ্ছে, অনেকদিন ধরেই কিছু একটা হয়েছে ওর |

…..খাওয়াদাওয়ার পর ঐশিক ওর গাড়ি নিয়ে বাড়ি ফিরে গেল | পুপু বারান্দা থেকে ঐশিককে বাই করে নিজের ঘরে ঢুকল | ঘর অন্ধকার করে একটু নিজের জন্য, একান্ত নিজের জন্য সময় বের করে বসল পুপু |

||৩||

পুপু আর ঐশিক ছোট থেকেই একসাথে, ওদের মা বাবারা একে অপরের প্রথমে প্রতিবেশী, পরে ভীষণ ভাল পারিবারিক বন্ধু হয়ে যায় খুব অল্প সময়ের মধ্যে | ছোট্ট থেকেই পুপু আর ঐশিক একসাথেই খেলেছে, পড়েছে, দুস্টুমি করেছে | পুপুও ঐশিককে যথেষ্ট ভরসা করতো, ইনফ্যাক্ট এখনও করে, একজন কেয়ারিং মানুষ, ফ্রেন্ড, ফিলোজফার, গাইড সবকিছুই | এসবের মধ্যেই ওরা কবে বড় হয়ে গেল, আর ঐশিকের কাছে একজন ভাল বন্ধুর থেকে আরো বেশি কিছু হয়ে গেল ও, ও নিজেই বোঝেনি |

হ্যাঁ, ঐশিকই তো ওকে প্রপোজ করেছিল, হঠাৎ করে, কোন আগাম আভাস ছাড়াই, সকলের সামনে, অ্যাক্টিং দিয়ে, হয়তো আভাস ছিল, পুপুই বোঝেনি হয়তো | ঐ সময় কাকু কাকীমা সবাই উপস্থিত ছিল | সবাই-ই নিজের মতো করে পুপু আর ঐশিকের সম্পর্কের সমীকরণটা সাজিয়ে নিয়েছিল, পুপুর মনের কথাটাও নিজের নিজের মনের ছাঁচে গড়ে নিয়েছিল নিজেরাই | নিজের জন্মদিনে এত বড় একটা ঘটনা অপেক্ষা করছে পুপু স্বপ্নেও ভাবেনি, তখন ঐ মুহূর্তে ‘না’ বলাটা সম্ভব ছিল না, পুপুও পারেনি | লোকলজ্জার ভয়ে তাই নিখাদ বন্ধুত্বটা যখন ঐশিকের প্রেমের তলায় চাপা পড়ল, কিছুই বলতে পারেনি পুপু | ইনফ্যাক্ট, আজও বলতে পারেনি ও, কাউকে, কিচ্ছু |

**************

ভাল লাগা বলতে যদি সত্যিই কিছু হয়ে থাকে, সেটা ঋষভের প্রতি | হ্যাঁ ঋষভ, যেদিন থেকে ঋষভকে দেখেছে, চিনেছে, বুঝেছে, খারাপ লাগার কোন কারণই যেন নেই | ঘন্টার পর ঘন্টা ঋষভের সাথে থেকেও যেন মনে হয়, সময় কত নিষ্ঠুর, কত দ্রুত যেন সময় ফুরিয়ে গেল, ঋষভকে নিজের মনের গোপনে লোকানো ভালোবাসার কথাটা এখনও বলতে পারেনি পুপু | ঋষভ কি আদৌ ভালবাসে ওকে? আর ঐশিক, ওর তো কোন দোষ নেই, নিঃস্বার্থভাবে ভালবেসেছে শুধু, যবে থেকে জ্ঞান হয়েছে, বোঝার ক্ষমতা হয়েছে, ঐশিকও তো একমাত্র পুপুকেই চেয়েছে | সব কিছু ভেবে পুপুর খালি এটাই মনে হয়, ও ওদের দুজনকেই ঠকাচ্ছে না তো? পুপু নিজের কাছে নিজে যেন বড্ড ছোট হয়ে যাচ্ছে, কী উচিত কী অনুচিত সব ভেবে সবটা গুলিয়ে যায় ওর |

আচ্ছা, সারাজীবন তো ওকে থাকতে হবে, তাহলে ওর চাওয়া পাওয়া, খুশীটাই তো শেষ কথা হওয়া উচিত তাই না? আবার পাড়া প্রতিবেশী, আত্মীয় স্বজন, মা বাবা সবার সম্মানের কথা ভাবতে গিয়ে নিজের কথা ভাবতেও…..| উফফ, আর ভাবতে পারছে না ও, উঠে পড়ল ব্যালকনি থেকে, দাঁড়াল ব্যালকনির রেলিং ধরে, আশপাশটা গাঢ় আঁধার, আকাশে একটাও তারা নেই, মেঘে ঢাকা, দুর্যোগের গুরুতর সম্ভাবনা | খুব অসহায় লাগছিল পুপুর, বড্ড একা লাগছে ওর, কাকে বলবে এসব? কে বুঝবে ওকে? কে বুঝবে যে ওর কোনো দোষ নেই, ওর হাতে যে কিছুই ছিল না | রাস্তার লাইটটা টিমটিম করে জ্বলছে, একাকী, ঠিক ওর মতো, সামনের গাছের জোনাকী পোকাগুলোর আলোর কারসাজি একমনে দেখতে দেখতে খেয়ালই করেনি কখন দুচোখ আর্দ্র, তাড়াতাড়ি নিজেকে সামলে নিল পুপু |

||৪||

ঋষভ, ওদের বাকী বন্ধুরা, পুপু সবাই আজ কলেজ থেকে ফেরার পথে গঙ্গার পাড়ে গেছে | পড়ন্ত বেলার সোনালী আভা গঙ্গার জলে পড়ে মা গঙ্গার শোভা যেন আরও অনেকগুন বাড়িয়ে দিয়েছে | আকাশটা আবীর রঙা লাল, সূর্য সারাদিন পর অস্তগামী, নিজের ঘর ফেরার পথে পাখিগুলো আকাশে দল বেঁধে উড়ছে, সব বন্ধুরা গল্পে মত্ত, পুপু একদৃষ্টে তাকিয়ে ঋষভের দিকে, ঋষভ তাকিয়ে রক্ত লাল আকাশটার দিকে | কিছুক্ষন পর পুপুর দিকে তাকাতেই দেখে মুগধ দৃষ্টিতে পুপু ওর দিকেই তাকিয়ে |

“কী দেখছিস?”, পুপুর দিকে তাকিয়ে প্রশ্নটা করে ঋষভ |

নিজের অখেয়ালেই মুখ দিয়ে বেরিয়ে যায়,”তোকে” | পরক্ষনেই নিজেকে সামলে নেয় পুপু | ছিঃ ছিঃ এসব কী বলছে, ছিঃ, ঋষভ কী ভাবল কে জানে | সারাটা পথ ফেরা অবধি আর ঋষভের দিকে তাকায়নি পুপু, ভয়ে? লজ্জায়? কী জন্য পুপু নিজেও জানে না | শুধু জানে, ঋষভ ওর মনে পাকাপাকি ভাবে জায়গা দখল করে ফেলেছে |

**************

বাড়ি ফিরে ঋষভ কাঁধের ব্যাগটা খাটে ফেলে জানলার কাছে দাঁড়াল, একটু পরেই পড়াতে যেতে হবে, পড়িয়েই ওর নিজের পড়ার, হাত খরচের টাকা ওঠে | ফুটবল খেলছে সামনের মাঠে ছেলেগুলো, ছেলেবেলাটা কত আনন্দের ছিল, কোনো চিন্তা নেই, শুধু আনন্দ আর মজা | একটু বড় হতে না হতেই বাবার কারখানার চাকরিটা বন্ধ হয়ে গেল, তারপরের চাকরিটার মাইনে এতও নয় যে স্বচ্ছন্দে চলবে | তারপর থেকেই লড়াইয়ের শুরু, অস্তিত্বের লড়াই, টিকে থাকার লড়াই | খুব অল্প বয়সেই বুঝে গেছিল ঋষভ, ওকে দাঁড়াতে হবে নিজের পায়ে, খুব তাড়াতাড়ি | ওকে ওর মা বাবা অনেক কষ্ট করে পড়াচ্ছে, এটুকু বুঝে গেছিল ও অল্প বয়সেই | দোকানে কিনতে গিয়ে প্রাইস ট্যাগ দেখে কিনতে হয় জিনিস, বুঝে গেছিল ও | বাবাও তারপর চলে গেল, সবটা ওর উপর পড়ল | এতসবের মধ্যে প্রেম, ভালোবাসার কথা ভাবাও বিলাসিতা | এসব ভাবতে ভাবতেই কখন যে ওর চোখে জল এসে গেছল কে জানে, বারবার চোখে পুপুর মিষ্টি কাজল পরা মুখটা ভেসে উঠছে, বড্ড ভালবাসে ও পুপুকে, কিন্তু কী লাভ ভালবেসে? ওর তো কিছুই নেই, ভালোবাসলেও সেই ভালোবাসা ধরে রাখবে কোন যোগ্যতায়? ওর ভাগ্যে নেই এসব, আবোল তাবোল ভাবনা ছেড়ে পড়াতে বেরবে বলে রেডি হতে গেল ঋষভ |

||৫||

“দ্যাখ, তোর যা মনে হয়, সেটা কর, কিন্তু প্লিজ তাড়াতাড়ি কর, বিয়ের কথাবার্তা প্রায় কমপ্লিট, বিয়ের কার্ড ছাপতে যাচ্ছে কদিন পর, এখন এসব কী বলছিস?”, প্রিয়াঙ্কা ফাঁকা ক্লাসে বসে কথাগুলো বলল পুপুকে |

“কী করব আমি? আমি তো কোনদিন ঐশিককে ঐ চোখে দেখিইনি, কিন্তু কী পরিস্থিতি হয়েছিল সব তো জানিস | আর যাকে ভালবাসি, সে আদৌ আমায় ভালবাসে কী না তাই জানি না | কী করব কিছু বুঝতে পারছি না |”, নিজের মনের সাথে যুদ্ধ করতে করতে ক্লান্ত পুপু বলল প্রিয়াঙ্কাকে |

-“আই থিঙ্ক তোর ঐশিকদাকে পুরোটা খুলে বলা উচিত | এভাবে চলে না, কাউকে তো তোকে বলতেই হবে, একটা ডিসিশন তোকে নিতেই হবে আর সেটা দ্রুত |”

**************

ক্লান্ত, বিধ্বস্ত, বিভ্রান্ত পুপু বুঝতে পারছিল না, কোনটা করা ঠিক, কোনটা ভুল? ও তো জানেও না, ঋষভ আদৌ ওকে ভালবাসে কী না, আর কীভাবে এত বড় কঠোর সত্যিটা বলবে ও ঐশিককে? কীভাবে দেবে ওকে এত কষ্ট? ঘন কালো মেঘে ঢাকা আকাশের দিকে তাকিয়ে দিশেহারা দৃষ্টিতে তাকিয়েছিল পুপু, চোখ জলে ভেজা | চোখটা বুজে নিল পুপু, সামনের রাস্তার পুরোটাই যে অন্ধকার |

||৬||

না, পারেনি ঋষভ, নিজের সমস্ত অভাবের, যুদ্ধের বোঝা সামলে পুপুর হাতটা ধরতে, তার থেকে অসুস্থ মাকে সামলানোর জন্য ওর অনেক টাকার দরকার ছিল | নাহ, পুপুও পারেনি নিজের মনের কথাটা বলতে | মেনে নেয় নিজের ভবিতব্যকে, মানিয়ে নেয় অবশেষে নিজের অবুঝ মনটাকে যে ঐশিকই ওর সব |

ঐশিক পুপুকে বড্ড ভালবাসে, তাই কোনো মূল্যেই হারাতে চায়নি ওকে, তাই প্রিয়াঙ্কা যখন সবটা জানিয়েছিল ঐশিককে, ঋষভের কাছে শুধু একটাই ভিক্ষা চেয়ে নিয়েছিল ঐশিক, পুপুকে | ও পুপুকে পারবে না হারাতে কোন মূল্যেই, তার জন্য ও কথা দিয়েছিল সমস্ত প্রয়োজনে সবদিন ও ঋষভের পাশে থাকবে, থেকেওছে | সবটা দিয়ে সাহায্য করেছে ঋষভকে, ওর মার চিকিৎসার জন্য | শুধু সবটুকু ঘটেছে পুপুর চোখের অন্তরালে | পুপু আর ঐশিক আজ সুখে সংসার করছে, ঋষভ আজ ওদের থেকে অনেক দূরে, কোথায় তা জানা নেই, ওরা সুখী, কিন্তু খুশী কতটা, জানা নেই, সিনেমা নয় যে এটা, রূঢ় বাস্তব |

তুলিকা রায়ের কলমে দুটি ভিন্ন স্বাদের সেরা উপন্যাস একসাথে মাত্র ৯৯/- টাকায় -

Share with

এরকম আরো কিছু গল্প

মুক্তি

বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে হয়ে গেল, আকাশ তখন থেকে ঠায় বসেই রয়েছে ঘাটে। এখন বাঁধানো ঘাট থেকে করিডোর হয়ে বাবা বিশ্বনাথের মন্দিরে পুজো দেওয়া অনেকটা সহজ

Read More »

বন্ধু হবি চল

বাক্সপেটরা নিয়ে স্টেশনেই বসে ছিল নয়না, বৃষ্টি পড়েই চলেছে, মুষলধারায়। বাবা বলল আরেকটু অপেক্ষা করতে, এত বৃষ্টিতে তো ছাতাও হার মানবে, আর বেরিয়ে রাস্তাও অজানা

Read More »

টিফিনবাক্স

প্রতিবারের মতন এই বছর ও সমস্ত সরঞ্জাম গুছিয়ে বেরোনোর জন্য ব্যস্ত অমিত, অন্তত সন্ধ্যার মধ্যে বেরোতে না পারলে খুব মুশকিল। পুজোর দিকটা কতদূর কি হলো

Read More »

ক্লিক

।।১।। -“মালিনী, কালকের মিটিংটা কখন ফিক্স করেছ? -“ম্যাম, সকাল ১১টা।” -“ওকে, কনফার্মেশন পেয়ে গেছ?” -“ইয়েস ম্যাম।” -“ওকে গুড। আর।।। এক মিনিট।।।” টেবিল থেকে ফোনটা তুলে

Read More »

শিক্ষা

।।১।। দাপুটে, বদরাগী, মেজাজি এই সব কটা বিশেষণই বেশ ভালো যায় মিসেস বোসের সাথে। রেণুকা বোস আর অমরনাথ বোস সানফ্লাওয়ার এপার্টমেন্টে ১২০০ স্কোয়ারফিটের ফ্ল্যাট 2c

Read More »

বিদায়

।। ১।। রীতিমত জোর করেই নন্দিনীকে পাহাড়ে নিয়ে এলো সঙ্গীতারা। আসার ইচ্ছে তো ছিল না ওর একদমই, শরীর সাথ দিলেও মনটা কোনোভাবেই সাথ দিচ্ছে না।

Read More »

Share with