তোমায় আমায় মিলে

।।১।।

“উফফ! পা-টায় যা অসহ্য যন্ত্রনা করছে। সেই কখন থেকে দাঁড়িয়ে। আর পারা যায়?” হাতের , কানের গয়নাগুলো খুলতে খুলতে বলছিল কুহেলী। রাজীব ততক্ষণে মোবাইল নিয়ে একপ্রস্থ গেম খেলতে ব্যস্ত। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বুঝল উত্তর দেওয়া আবশ্যিক। শুনুক আর নাই শুনুক হুম, হ্যাঁ এইটুকু না বললে তো যুদ্ধের দামামা বাজল বলে, তাই আর দেরী না করে গেমটা পজ করে একবার কুহেলীর দিকে তাকাল ও।

সারাদিনের জার্নি, অনুষ্ঠান শেষে স্বাভাবিকভাবেই ক্লান্ত, বিধ্বস্ত দুজনেই, কুহেলীর চোখে মুখেও সেই ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট।

বাড়িতে এখনও লোকজনের আসা যাওয়া চলছেই, সবকিছু মিটতে মিটতে রাত ২টো বাজবে মনে হয়। ঘড়ির দিকে তাকাল একবার রাজীব, একবার বারান্দার দিকে। ভাড়া বাড়ি থেকে সব জিনিসগুলো আসছে এখনও। মেজ কাকা আর অর্ণবদা সেগুলোরই তদারকি করছে। রাজীবদের ঘরের সাথে লাগোয়া বারান্দাটা থেকে পরিষ্কার দেখা যায়। ওর ঘরের সামনে এখনও বিয়ের আগেরদিন থেকে লাগানো টুনি লাইটগুলো ঝিকমিক করছে আপন ছন্দে। কখন যে কুহেলীও ওর পাশে এসে দাঁড়িয়েছে, খেয়ালও করেনি রাজীব। সানাই-এর সুর এখন অনেকটাই স্তিমিত, আলোও নিভে যাবে কিছুক্ষণ পর। এতদিন ধরে যে দিনটার জন্য এত প্রস্তুতি, এত উত্তেজনা, এত তোড়জোড় অবশেষে সেটা মিটল। হালকা লাগছে এবার অনেকটা। মাথার উপর এত চাপ, শেষ কদিন তো ভালভাবে ঘুমও হয়নি। কুহেলীর চোখের দিকে তাকাল একবার। ও কখনও গ্রাম দেখেনি। আদ্যোপান্ত শহুরে পরিবেশে বড় হওয়া একটা মেয়ে। যে কোনওদিন উনুন দেখেনি, যে কখনও মাটির বাড়ি দেখেনি, যে কখনও গোয়াল ঘর দেখেনি, এইরকম একটা পরিবেশে এসে কুহেলী পারবে তো মানিয়ে নিতে? প্রথম থেকেই এই বিষয়টা নিয়ে ভীষণ চিন্তিত ছিল রাজীব। কিন্তু প্রথম থেকেই এসে কুহেলীও ভীষণভাবে চেষ্টা করছে সবকিছুর সাথে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে। আর ওর বিশ্বাস কুহেলী পারবে, পারলে একমাত্র কুহেলীই পারবে। এমনি এমনি তো আর এই মানুষটাকে ভালবাসেনি। হ্যাঁ, হয়তো একটু অবুঝ, একটু ছেলেমানুষিতে ভরা, একটু পাগলাটে, কিন্তু বুঝলে কুহেলীর মত কেউ আর বুঝতে পারে কই রাজীবকে? রাজীবের মা-ও এরকম ভাবেই পড়ে নিত ওর মনটা, কিছু বলার আগেই।

ছেলেমানুষির ভিড়ে এই মেয়েটাই প্রয়োজনে চূড়ান্ত সিরিয়াস, এই পাগলীটাই সঠিক সময়ে সবথেকে প্র্যাকটিকাল, বুঝদার, পাশে থাকার মত একটা বন্ধু। কুহেলীর হাতে হাত রাখল রাজীব, ওর চোখের দিকে তাকাল। পারবে তো? চোখে চোখ এই প্রশ্নটাই বেশ সংশয় নিয়ে জানাল যেন।

আজ কালের মধ্যে পূর্ণিমা আছে মনে হয়। বারান্দা থেকে আকাশটা পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে, আলোয় আলো, চারপাশের কোলাহলের মধ্যেও যেন ঐ স্নিগ্ধ জ্যোৎস্নায় ভরা আকাশটা দেখলে শান্ত হয়ে যায় মনটা।

রাজীবের আঙুলে নিজের আঙ্গুলটা ছোঁয়াল কুহেলী। নিজের সদ্য বিবাহিতা স্ত্রীর দিকে তাকাল রাজীব, আরও যেন একটু গভীর হল ওর দৃষ্টি। কুহেলীর চোখে জিজ্ঞাসা অনেক, বুঝতে দেরী হল না ওর। এটাই তো স্বাভাবিক। নিজের পরিচিত গন্ডি ছেড়ে ওর জায়গায় এসেছে মেয়েটা, এইটুকু সময় তো দিতেই হবে। আর কুহেলীকে দেওয়ার জন্য ওর পুরো জীবনটাই তো পড়ে আছে। তাহলে আবার কি? কুহেলীর চোখে ঘন কাজলের ঘনঘটা, সিঁথি ভর্তি সিঁদুর, এখন যেন একটু অগোছালো, পরিপাটি করে বাঁধা চুলে এখনো জড়িয়ে টাটকা গোলাপের গন্ধ, কপালের টিপটা একটু যেন সরে গেছে। একটু আগেই কনে যাত্রীরা বেরিয়ে গেছে। কুহেলীর মনটা ভাল নেই এখন জানে সেটা রাজীব।

“কাল কিন্তু প্রণাম করতে যেতে হবে দেশের বাড়িতে। দেখবি তোর খুব ভাল লাগবে। একদম নতুন অভিজ্ঞতা। মেজ কাকা আর অর্ণবদাও থাকছে, জমিয়ে রাখবে, দারুণ মজা হবে। জানিস যখন ছোট ছিলাম, মুখিয়ে থাকতাম স্কুলের গ্রীষ্মের ছুটির জন্য, তখন গ্রামের বাড়ি গিয়ে দাপিয়ে বেড়াতাম জাস্ট। কত যে স্মৃতি আছে। ওখানেই প্রথম সাইকেল চালাতে শিখেছি, সে সব এখনও ঠাম্মা যত্ন করে রেখে দিয়েছে। ঠাম্মা দাদু তো নাতবৌকে নিয়ে খুব একসাইটেড। সবাই ওয়েট করছে তোর জন্য। দেখবি তোর খুব ভাল লাগবে।”

কথাগুলো বলে থামল রাজীব। কথাগুলো বলার সময়ে ওর মুখে যে ঔজ্জ্বল্য ছিল, তা কুহেলীর চোখে মুখে লেশমাত্র নেই, বরং তার বদলে ওর মুখে যে ভিড় জমিয়েছে সংশয়ের কালো মেঘ। ও কি ভাল নেই? ওর মনের মধ্যে অনেক কিছু একসাথে চলছে জানে রাজীব। ঠিক কি চলছে তা ও আঁচ করতে পারছে খানিকটা।

কুহেলীর আঙ্গুলটা আরেকটু শক্ত করে ধরে বলল রাজীব, “আমি আছি তো। এত ভাবছিস কেন?”

নিজের সবথেকে কাছের মানুষটার কাছে সব কিছু বলতে পারার মধ্যে এক অপার শান্তি আছে, সেই প্রশান্তির ছাপটাই কুহেলীর ক্লান্ত মুখে ফুটে উঠল যেন।

বাইরে মালপত্র তোলাও শেষ, বেরিয়ে যাচ্ছে গাড়িটা। সেই দিকে তাকিয়েই কুহেলী বলল, “আচ্ছা, তোর মেজকাকা, আর স্পেশালি অর্ণবদা, একটু লাউড না?”

“লাউড?”

“না মানে, সবসময়ই কি জোরে জোরে কথা বলেন, হাসেন, কেমন না একটা? পছন্দটাও… মানে, আমায় যে শাড়িটা দিয়েছেন, তার কালারটা দেখবি, উফফ, কি চড়া রংটা।”

“আচ্ছা।”

“আর খাওয়াদাওয়ার অভ্যেসটাও এখানে বেশ আলাদা, তাই না?”

“হুম, তা একটু আলাদা তো বটেই।”

কুহেলীর চোখদুটো পড়তে চেষ্টা করল রাজীব। না, মেয়েটা এরকম নয়, হাসিখুশি মেয়েটার মনটাও ততটাই সুন্দর, এই কথাগুলো তো কুহেলীর বলার কথা নয়। প্রতিটা মানুষ আলাদা, আর সে তার মত করে একজন আলাদা অস্তিত্ব, এটা তো একদিন কুহেলীই শিখিয়েছিল ওকে। আজ তাহলে কুহেলীর বলা শব্দগুলো এরকম অচেনা কেন?

“আচ্ছা, ওখানে গিয়ে কালকেই ফিরে আসব তো? ওখানে থাকা খাওয়া কিন্তু আমার পক্ষে সম্ভব না।”

“তুই তো এখনও যাসনি, দেখিসওনি, ভালও তো লাগতে পারে, কিছু না দেখে না বুঝে কথা বলার মেয়ে তো তুই নোস। আগে চল, তারপর তো…”

“হুম। “

আর কথা এগোল না, কুহেলী ঘরে ঢুকে গেল, কিন্তু ওর মনের সংশয় যে এক বিন্দুও দূর হল না, সেটা বুঝতে রাজীবের বাকি রইল না। ওদের ভালবাসার বয়স প্রায় সাত বছর। পড়াশুনা শেষে চাকরি তারপর বিয়ে, সব গল্পে যেমন হয় আর কি। ওদের গল্পটাও একই সুতোয় বাঁধতে চেয়েছিল ওরা দুজনেই। কিন্তু দুজনের মাঝে মিলের সাথে সাথে অমিলও যে অনেকটা।

ওদের বড় হয়ে ওঠা, ওদের পরিবার, বাসস্থান, ভাষা, নিয়ম, আচার, খাওয়াদাওয়া সবকিছুই অনেক অনেক আলাদা, আর এত অমিলের পাহাড় ডিঙিয়েই এক হয়েছে ওরা দুজন, কিন্তু এত অমিলের মধ্যে কেউ খেই হারিয়ে ফেলবে না তো? সুতোটা তো দুজনকেই টানটান করে ধরে রাখতে হয়, কুহেলী পারবে তো? রাজীব নিজে পারবে তো?

।।২।।

রাজীবদের গাড়ি যখন ওদের গ্রামে পৌঁছাল, তখন দুপুর গড়িয়ে বিকেল প্রায়। রাস্তায় মারাত্মক জ্যাম, পৌঁছাতে প্রায় ঘন্টা দুয়েক লেট হল। গাড়ি থেকে নামার মুহূর্তেই কুহেলীর চোখ মুখে বিরক্তিটা খানিকটা কমে বিস্ময়টা যেন খানিক বেশি, রাস্তার দুধারে ক্ষেত, মাটির বাড়ি, খড়ের ছাউনি, বেশিরভাগ বাড়ির সামনে বাঁধা গরু, বাছুর, মা আর ছা-এর এমন মাতৃত্বের বন্ধন সত্যিই দেখার মতন। এই একটা সম্পর্কই বিশ্বের সমস্ত প্রাণীর মধ্যে এক, দুচোখ ভরে দেখছিল কুহেলী। ও গাড়ি থেকে নামতেই বরণের পালা। না সেই বরণের নিয়মের আতিশয্যের থেকেও ছিল আন্তরিকতা। এদিক ওদিকের বাড়ি থেকে অনেকেই ওর ভিটে বাড়িতে এসে হাজির, নতুন বউকে দেখবার জন্য। সবাই যে ওদের আত্মীয় তা নয়, পাড়া প্রতিবেশীই বেশি। বেশিরভাগই বয়স্ক তাদের মধ্যে, কুহেলীও মাথায় ঘোমটা টেনে যতটা সম্ভব হাসিমুখে সকলকে প্রণাম করে তাদের মন জিততে ব্যস্ত। এদিক ওদিক এক দুজনের বাড়িতেও যেতে হচ্ছে। এই এত সবকিছুর মাঝে যেটা কোন মতেই এড়ানো যায় না সেগুলো হল এই সরল নিষ্পাপ মানুষগুলোর হাসি, আর উজাড় করা ভালবাসা। এই ভালবাসার উত্তাপ এড়িয়ে যাওয়া এত সহজ নয়। সেদিন সন্ধ্যেবেলা খেয়ে দেয়ে গাড়ি করে বেরনোর ব্যবস্থা হল। কুহেলীর কথা ভেবেই রাজীব আর এখানে থাকার প্ল্যান করল না।

ওদের বাড়ির সামনেটাটায় একটা ছোট্ট পুকুর, ওখানটাতেই চুপচাপ দাঁড়িয়েছিল ও। বাড়ির ভিতর বিশাল কোলাহল, লোকজন। এই পুকুরটার ধারে অজস্র গাছগাছালির ভিড়ে নিরিবিলিতে তাই দাঁড়িয়েছিল রাজীব। এই জায়গাটা ঘিরে ছোটবেলার অনেক স্মৃতি… অনেক, একে একে সেই স্মৃতিগুলো চোখের কোণে ভেসে উঠছিল নিজের মত করে। গরমের সময়, তাই সন্ধ্যে নামতে বেশ দেরী হয় এখন, গাছগাছালির মধ্যে দিয়েই পশ্চিমাকাশে লাল সুয্যিমামার পাটে বসার দৃশ্য ভারী মন দিয়ে দেখছিল ও। পাশের রাস্তাটা দিয়ে দল বেঁধে ছোট্ট ছোট্ট পায়ে ঘর ফিরছে হাঁসগুলো হেলতে দুলতে ধীরে ধীরে। তাদের এই হেঁটে যাওয়া দেখতে ভারী মিষ্টি লাগে। হাঁসগুলোর পাশে আবার কোন মানুষ এসে পড়লে তারা দ্রুত গতিতে ঐ কচি পাগুলো ফেলে হাঁটতে থাকে, সেও ভারী মজার দৃশ্য। এখনও সেইভাবেই হাঁটছে ওরা, কিন্তু ওদের পাশটায় ওটা কে? হতবাক হয়ে তাকিয়ে রইল রাজীব। একটা বাচ্চা মেয়ে যেন খেলে বেড়াচ্ছে ওদের সাথে, তার পায়ে লেগে এখনো রাঙা আলতা, মাথার টকটকে সিঁদুর, হাতে অলংকার, কিন্তু ঘোমটা মাথা থেকে সরে গেছে বহুক্ষণ।  চোখে মুখে শিশুর সারল্য, পায়ে নূপুরের রিনরিনে শব্দ তুলে হাঁসগুলোর সাথে খেলে বেড়াচ্ছে কুহেলী। হ্যাঁ, রাজীবের কুহেলী, একটু আগে যে মেয়েটার মুখে ছিল সংশয়, বিরক্তি, এখন সেই মেয়েটার মুখেই উপচে পড়ছে খুশী। এই বাতাসে, এখানকার ফুলের সুবাসে, এখানকার মাটির গন্ধে যে ভালবাসা ছড়িয়ে আছে, সেই ভালবাসার খোঁজ পেলে কার সাধ্যি এই মাটিকে ভাল না বেসে পারে। মিনিট খানেকের মধ্যেই হাঁপাতে হাঁপাতে রাজীবের কাছে এল কুহেলী।

“কি হল হাঁপাচ্ছিস যে? একটু পর তো বেরব এখনও রেডি হোসনি? একটু খেয়েই বেরিয়ে যাব কিন্তু।”

“ঠাম্মা রুটি করছে, এই গরমে উনুনের তাপে মানুষটার চোখমুখ লাল। আমার খুব খারাপ লাগছিল জানিস তো। শুধুমাত্র আমার জন্য এত্ত আয়োজন! এত্ত ভালবাসতে পারে মানুষগুলো! পঞ্চব্যঞ্জন রান্না হয়তো নয়, তাও নিজের মত করে ঠাম্মা, এরা সবাই কত কি আয়োজন করেছে রে! এই দ্যাখ একজনের বাড়ি গেলাম প্রণাম করতে তাদের ঘরে যা কিছু ছিল, হয়তো বিশাল দামী কিছু নয় ওগুলো আমাদের কাছে, কিন্তু তাদের যা সাধ্য, সেই অনুপাতে সুগুলোই তো অনেক দামী। সেই সব দিয়েই তারা আমায় আপ্যায়ন করল। তাদের সীমিত সাধ্যের মধ্যেই আমায় কিছু টাকা দিয়ে আশীর্বাদও করল। মানুষগুলো বড় আন্তরিক রে। বড্ড ভাল মানুষ। আর যারা এত ভালবাসে তাদের কিভাবে ছেড়ে যাই বলতো?”

“মানে? আজ তাহলে…”

“না, আজ বরং থেকে যাই চল। মানুষগুলো বড্ড আপন রে, বড্ড আপন, এদেরকে এত তাড়াতাড়ি ছেড়ে যেতে পারব না। মানুষগুলো শুধু আমার সাথে কিছু মুহূর্ত কাটাবে বলে এত আয়োজন করেছে। আমি আসায় এত খুশী। এইটুকুতে যারা খুশী হতে পারে, তাদের খুশী কেড়ে নি কিভাবে বলতো? চল, চল, ঠাম্মার সাথে আজ অনেক গল্প বাকী আছে। আমার তো আর ঠাম্মা নেই, তোর ঠাম্মিটাই তো আমার ঠাম্মি এখন। চল তাড়াতাড়ি চল।”

যেন যুদ্ধ জয়ের হাসি ফুটল রাজীবের মুখে। কুহেলীর চোখের আড়ালেই কুহেলীকে মন ভরে দেখছিল ও। পারলে এই মেয়েটাই পারবে, তাই জন্যই তো…

একবার ফিরে তাকাল কুহেলী, “কি হয়েছে?” এমনতর প্রশ্ন যেন চোখে। মাথা নাড়ল রাজীব। এইভাবেই পার করে দেব বাকি জীবনটা, তোমায় আমায় মিলে।

তুলিকা রায়ের কলমে দুটি ভিন্ন স্বাদের সেরা উপন্যাস একসাথে মাত্র ৯৯/- টাকায় -

Share with

এরকম আরো কিছু গল্প

নিভৃত যতনে

।। ১।।   কোর্টের বাইরে তখন খাঁ খাঁ করছে রোদ, ঘড়ির দিকে তাকাল একবার রিয়াঙ্কা, কোথা দিয়ে এতটা সময় চলে গেল বুঝতেই পারেনি। একবার বাবার দিকে

Read More »

সন্ধ্যে নামার আগে

।।১।। “প্লিজ তোমার ভাঙা রেকর্ডটা একটু বন্ধ কর তো, সবসময় ভালো লাগে না। একেই অফিসে এত কাজের প্রেশার, বাড়ীতে একটু শান্তিতে বসব, তাও দেবে না।”

Read More »

যদি

।।১।। “আর দেরী করলে কিন্তু, সত্যিই পৌঁছতে পারবে না, অলরেডি সাড়ে চারটে বেজে গেছে” মা-এর উদ্দেশ্যে চেঁচাল মৌমিতা, অয়নের দিকে একবার আড়চোখে তাকাল। অয়নও একটা

Read More »

তুমি রবে নীরবে

।।১।। “বাবু, তোকে আর কতবার বলতে হবে, রোজ একবার করে অন্তত প্র্যাকটিসটা করবি question bank টা। আজও তো করলি না।” পেটির মাছের পিসটা একমাত্র ছেলের

Read More »

একে একে এক

।।১।। চোখে সোনালী ফ্রেমের চশমার আড়ালে ঘন কালো কাজলে মোড়া বড় চোখদুটো সামনের দেবদারু গাছটার দিকে তাকিয়ে অন্যমনস্কভাবে কি যেন একটা খুঁজছিল, হাতের পেপার ওয়েটটা

Read More »

১-২-৩ স্মাইল প্লিজ… শেষ অংশ

।।৫।। গভীর নিম্নচাপের কারণে, পুরো কলকাতা আজ কার্যত ভাসছে, জল জমে অচলাবস্থা বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে। বসার ঘরে টিভিতে কলকাতার অবস্থা যতই দেখাচ্ছে, ততই টেনশন বাড়ছে

Read More »

Share with