ভালোবাসার অনেক রং

||১||

“দাদা, মহিষাসুর মর্দিনীটা দিন না এক কপি |” কলেজ স্ট্রিটে সামনের কাউন্টারে বসা লোকটিকে বললাম | সবে রুমালটা বার করে ঠান্ডা এ.সি-র রুমে ঘামটা মুছতে মুছতে একটু আমেজ নিচ্ছি, তক্ষুনি – “না ম্যাডাম, লাস্ট পিস্ এই বিক্রি হয়ে গেল, আপনি বরং পরশু আসুন |”

খুব স্বাভাবিক-ই মুখটা শুকিয়ে আমসি হয়ে গেল, এক রোদে ঘুরে, দুই, বইটা না পেয়ে | এই বইটাই ক’দিন আগেও কিনতে এসেছিলাম, পাইনি, তখনও বিক্রি হয়ে গেছিল, আসতে দেরী করেছিলাম, কোলকাতার বাইরে গেছিলাম কাজের জন্য |

আমি দিব্যা সেন, পেশায় জার্নালিস্ট, কর্মসূত্রে এদিক ওদিক যাওয়া আসা লেগেই থাকে | তার সঙ্গে সঙ্গে বই পড়ার নেশা আমার মারাত্মক, সেই নেশার টানেই বারবার ছুটে আসা বই পাড়ায় | এই বইপাড়া কলেজস্ট্রীট আমার অন্যতম প্রিয় জায়গাগুলোর মধ্যে একটা | আমার কলেজ, বন্ধু বান্ধব, আড্ডা, কফি হাউস সব কিছুই এই জায়গাটার সাথে ওতপ্রোতভাবে মিশে | তাই কর্মসূত্রে অনেকটা সময় বাইরে থাকলেও, এই জায়গাটার কদর কোনদিন কমবে না |

||২||

যে বইটার জন্য আসা, তার সম্পাদক, মিঃ রঞ্জন লাহিড়ী, আর লেখেন ওনার স্ত্রী মিসেস ইরা লাহিড়ী | প্রত্যেকটি বই-এর ‘নিবেদন’-এ মিঃ লাহিড়ী লেখেন, এবং বইগুলি উৎসর্গ করেন ওনার স্ত্রীকে | ওনার স্ত্রী সম্পর্কে বিশেষ কিছুই জানা কারো পক্ষে সম্ভব হয়নি, কোন অনুষ্ঠানেও যান না | খুব মিস্টেরিয়াস লাগে ব্যাপারটা | এমনকি সেরকম সাক্ষাৎকারও করেন না যে মানুষ জানবে কিছু | তাই খুব স্বাভাবিক ভাবেই ওনাদের ঘিরে ভীষণ উৎসাহ সবার মধ্যে, আর হবে নাই বা কেন, যখন বইগুলো এত পপুলার | আমি নিজেও খুব বড় ভক্ত, অনেকদিন ধরেই চেষ্টা করছি ওনাদের একটা ইন্টারভিউ-এর, কিন্তু এখনও অবধি সে সুযোগ বা সৌভাগ্য হয়নি |

এই মানুষদুটোকে চেনার বা জানার শখ আমার সেদিন থেকে, যেদিন প্রথম এদের বই পড়ে আমি প্রেমের মানে বুঝেছিলাম, ভালোবাসার কত রকম স্তর হতে পারে, ভালবাসার কত যে রং, ভালবাসা মানুষকে কোন পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে, এই মানুষদুটোর থেকেই শেখা | এই লেখা থেকেই আমি দিব্যাংশুকে পেয়েছি, আমার ভালবাসা আমার সবকিছু, দুজনের কাছেই দুজনের চাওয়া পাওয়া, শ্রদ্ধা, বন্ধুত্ব পুরোটাই স্বচ্ছ |

…..গাড়ি নিয়ে অবশেষে বাড়ি পথে যাত্রা করলাম, খালি হাতেই |

||৩||

আমি আর দিব্যাংশু দুজনেই ইরাদেবীর লেখার খুব ভক্ত | এই গল্প থেকেই আমাদের ওয়েভ লেংথটা যে ম্যাচ করে, প্রথম ফিল করেছিলাম | ছুটির দিন আজ, ঐ নিয়েই দিব্যাংশুর সাথে ফোনে গল্প হচ্ছিল | আজ একে ছুটির দিন, তাই আবার বর্ষণমুখর দিন, প্রেম করার জন্য আইডিয়াল একদম | মা গরম গরম পিঁয়াজি ভেজেছে | ফ্ল্যাটের ঘষা কাছের জানলার পাশে বসে প্রেমে মশগুল ছিলাম দুজন | চারপাশটা কালো মেঘে ঢাকা, ঘন কালো মেঘের মধ্যে দিয়ে বারবার বিদ্যুতের তীব্র আলো, সবকিছু মিলেমিশে এক মনোরম পরিবেশ | জানলাটা খুললাম একবার, বৃষ্টির ছিটে লাগল মুখে, সাথে ঠান্ডা হওয়ার ঝলক | ঘরের পর্দাগুলো উড়ছে, তার সাথে উড়ছে দুটো মন, পাশে হালকা করে ঘরে চলছে গান, আর সাথে ঘরে নিভু আলোর খেলা | কোথায় যে হারিয়ে গেছিলাম দুজন কথায় কথায়, নিজেরাও জানি না | ফোনের নোটিফিকেশনের পর পর ভাইব্রেশনে টনক নড়ল, অনেকগুলো মেল, মেসেজ ঢুকছে | ফোনটা রেখে চেক করতেই চক্ষু ছানাবড়া, তবে সেটা আনন্দে |

…. আজ এতদিন পর মিঃ রঞ্জন লাহিড়ী ইন্টারভিউ-এর জন্য রাজি হয়েছেন, টাইম দিয়েছেন |… উফফ, এই আনন্দ রাখি কোথায়, এভাবে হঠাৎ করে সুযোগটা এসে যাবে স্বপ্নেও ভাবিনি |

||৪||

অ্যাপোয়েনমেন্ট করাই ছিল, নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছেও গেলাম | এতদিন ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত, এতজনের ইন্টারভিউ নিয়েছি, কিন্তু আজ যেন অন্যরকম একটা অনুভূতি হচ্ছে, দিব্যাংশুকে মেসেজ করলাম | কিছুক্ষন অপেক্ষার পর অবশেষে রঞ্জনবাবু এলেন | কাঁচা পাকা চুল, দুধ সাদা পাজামা পাঞ্জাবী, হাতে ঘড়ি, হাতা ভাঁজ করে পরা, চোখে চশমা, হালকা দাড়ি, সুঠাম চেহারা, চেহারায় আভিজাত্য আর বনেদিয়ানার ছাপ স্পষ্ট | উজ্জ্বল হাসি দিয়ে স্বাগত জানালেন আমায়, নমস্কার জানিয়ে বসলেন সামনের সোফায় | ওনার বাড়িতে ইতিউতি ছড়িয়ে রয়েছে হস্তশিল্প, কুঠির শিল্পের নানা নিদর্শন | দেখেই বোঝা যায় কেউ খুব যত্ন নিয়ে সাজিয়েছেন, নিশ্চই ওনার স্ত্রী | এত সৌখিন মানুষদুটো, এটাই তো স্বাভাবিক | চা এলো | আমি প্রাথমিক ভাবে আলাপ শুরু করে ওনার ইন্টারভিউটা শুরু করলাম | ইন্টারভিউ চলতে লাগল, মাঝে মাঝে রেকর্ডার বন্ধ করিয়ে আড্ডাও দিলেন | ওনার বাড়ির সামনেই বেশ সুন্দর একটা বাগান আছে, সেখানে ফোয়ারাও আছে | দুধ সাদা রঙের সাজানো বাড়িটা |

-“আপনার প্রিয় রং কি সাদা, মিঃ লাহিড়ী?

-“নাহ, কেন বলুন তো? এত শ্বেত শুভ্র-এর আতিশয্য দেখে মনে হলো বুঝি?”

-“হ্যাঁ, আসলে এত সুন্দর ভাবে সাদা রংটা মেন্টেন করা হয়েছে, এত সুন্দর সাজানো তাই….”

আমার মুখের কথা কেড়ে নিয়েই বললেন,”না, আমার না | আমার স্ত্রী মানে ইরার প্রিয় রং সাদা, ওর পছন্দেই সবকিছু সাজানো, যা কিছু দেখছেন |”

আমি শুনে একটু অবাক হয়েই তাকালাম মিঃ লাহিড়ীর চোখের দিকে, ভাল ভাবে তাকাতেই চোখে পড়ল এতক্ষনে, ঘন নীল চোখ, যেন এক গভীর সমুদ্র, যার তল পাওয়া অসম্ভব | নিজের অজান্তেই হারিয়ে যাচ্ছিলাম কীভাবে যেন গভীর চোখদুটোর দিকে তাকিয়ে, কিছুতেই নিজেকে সংযত করতে পারছিলাম না, চোখ সরাতে চেয়েও যেন সরাতে পারছি না | কাজের লোকটি চায়ের কাপ নিতে আসায় ঘোর ভাঙল আমার | ভীষণ লজ্জা লাগছিল নিজেরই, ইসস, কি ভাবলেন ভদ্রলোক? ভদ্রলোকের কী কোন সম্মোহনী ক্ষমতা আছে? এভাবে নয়তো কারও দিকে তাকাইনি তো | কথাবার্তা শেষে সময় শেষ হয়ে গেছে, তাই আর সময় দিতে পারলেন না মিঃ লাহিড়ী, বাধ্য হয়েই উঠে পড়তে হলো | কথা দিলেন আবার সময় দেবেন |

**************

বাড়ি ফিরে মিঃ লাহিড়ীর ভাবনাতেই ডুবেছিলাম | ইনফ্যাক্ট পরের কটাদিন-ও ডুবে রইলাম | কেন জানি না, ওনার উপস্থিতি, ওনার কথা বলা, ওনার ভাবভঙ্গি, ওনার রুচি, এই সবকিছুই বড্ড আকর্ষণ করছিল আমায়, অনেক চেষ্টা করেও মন থেকে নামাতে পারলাম কই?

রাতে শোবার আগে রোজ একবার হলেও আমি ভাবি, আবার কবে ওনার সাথে কথা বলার সুযোগ পাব | এটা কী? প্রেম? না, ভালোবাসা? না | কী তাহলে? কেন তাকে নিয়ে এত ভাবছি আমি? প্রশ্নটা কুরে-কুরে খাচ্ছে আমায় | উত্তরটা হাতড়ে হাতড়ে চলেছি | পাচ্ছি না কিছুতেই |

**************

আজ আবার কদিনের চেষ্টার পর ওনার সাথে কথা বলার সুযোগ পাওয়া গেছে | সে অর্থে নয়, নিখাদ আড্ডাই | তার থেকে কিছু লেখা লিখব রবিবারের পত্রিকার জন্য, যদি মনে হয় | সবুজ বাগান, দুধ সাদা ফোয়ারা, পরী পুতুল পেরিয়ে বসলাম ঘরটায় আবার | আবারও চারপাশটা জুড়ে একটা শান্তি বিরাজ করছে যেন | আজ খেয়াল করলাম একটা দোলনা রাখা সামনের খোলা বারান্দাটায় |

কিছুক্ষন পরই এলেন মিঃ লাহিড়ী, হাসিমুখে আবারও স্বাগত জানালেন | কথা শুরু হলো | কথার সাথে সাথেই ওনার আপাত শান্ত গভীর চোখ দুটো আমার মনটা বারবার অশান্ত করে তুলছিল, পারছিলাম না কিছুতেই মনটাকে শান্ত করতে | কী হচ্ছে? কেন হচ্ছে? কিছুই মাথায় ঢুকছে না | আমার থেকে বয়সে যথেষ্ট বড় ইনি, অন্তত দশ বছর তো হবেই | ওনার সাথে কথার মাঝে বারবার যেন ওনার উপস্থিতি, ওনার ব্যক্তিত্বের প্রেমে পড়ে যাচ্ছিলাম আমি | আমার তো দিব্যাংশু-র সাথে বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে, তাহলে? আমি কীভাবে এটা ভাবতে পারি? আর ওনাকে আমি মোটেই ভালবাসি না, তাহলে এরকম অনুভূতি কেন? মাথা মুন্ডু কিছুই বুঝতে পারছিলাম না আমি | হঠাৎ খেয়াল পড়ল ইরাদেবীর সাথে তো আলাপই হয়নি এখনও, একবারও দেখিনি তাকে, সঙ্গে সঙ্গে বললাম মিঃ লাহিড়ীকে | প্রশ্নটা শুনে মুখটা একটুক্ষণের জন্য থমকালেও মুখের হাসিটা মিলোল না একবারও | কিছুক্ষন চুপ থেকে বললেন, “ভিতরে আসুন” |

||৫||

ভালবাসা কাকে বলে সত্যিই বোধহয় আমি পুরোপুরি বুঝতাম না, এখন এটাই মনে হয় | আজকের পর, মিঃ আর মিসেস লাহিড়ীকে চেনার পর, বোঝার পর, রঞ্জন বাবুর প্রতি, বলা ভাল ওনার ব্যক্তিত্বের প্রতি, আমার এই আকর্ষণ, শ্রদ্ধা যেন কয়েকগুন বেড়ে গেল |

বাড়ি ফিরে এলেও, চোখ থেকে এখনো সরেনি, নিপুণ হাতে সাজানো ইরাদেবীর ঘরটা, দেওয়াল জুড়ে ওনার আর মিঃ লাহিড়ীর নানা বয়সের নানা মুহূর্তের ছবি ফ্রেমবন্দি, ওনার পছন্দের ঘরের রং- দুধ সাদা, ওনার পছন্দের ফুল- জুঁই, গন্ধে ম-ম করছে সামনের বারান্দাটা | পর্দার কাপড় থেকে ফ্যান্সি আলোর সেট, সুবাসিত ফুলের গন্ধ থেকে জানলার আর্শি চুঁইয়ে গড়িয়ে পড়া সোনালী রোদ, সবটা ওনার পছন্দের | আর এসবের মাঝেই দুধ সাদা চাদরে ঢাকা এক শয্যাশায়ী মানুষ, যার স্বেচ্ছায় চলার ক্ষমতাটুকু নেই, একটা আঙুল নড়াবার ক্ষমতাও নেই যার, শুধু বলতে পারে, আর এই কথা দিয়েই যিনি জয় করে চলেছেন আপামর এই সমাজের মানুষগুলোর মন, লোকচক্ষুর আড়ালে থেকে | মিডিয়ার আড়ালে থেকেও যেন কত প্রাসঙ্গিক, শয্যাশায়ী হয়েও কতটা গ্ল্যামারাস, বিয়ের দশটা বছর অতিক্রান্ত হয়েও যেন অনেকের থেকে বহুগুন বেশি রোম্যান্টিক |

বিয়ের চার বছরের মাথাতেই শিলিগুড়ি থেকে ফেরার পথে একটা অ্যাক্সিডেন্ট সব তছনছ করে দিয়েছিল | কিন্তু রঞ্জনবাবু, যেন এক ধ্যান মগ্ন ঋষি, যে নিজের স্ত্রী, নিজের একমাত্র প্রেমিকা ছাড়া কাউকে চেনে না, তাকায়ও না, শক্ত হাতে সেদিনের বিধ্বস্ত ইরাকে সামলে নিয়েছিল | তাই সেদিনের ইরা গুঁড়িয়ে যায়নি, আরও বেশি জোরালো হয়ে ফিরে এসছে এই সমাজের বুকে | ইরাদেবী শুধু বলেন, রঞ্জনবাবু পাশটিতে বসে থাকেন সর্বক্ষণ, লেখেন | নিজের স্ত্রীর এই সৃষ্টিকে এক অনন্য রূপে সাজিয়ে তোলেন | তাই যতটা কৃতিত্ব ইরাদেবীর, ততটাই বাহবা প্রাপ্য রঞ্জনবাবুরও |

||৬||

রঞ্জনবাবু আর ইরাদেবীর ব্যক্তিগত জীবনের ব্যাপারে বাইরের লোক কিছু জানুক ওনারা চাননি | আমিও আমার কথা রেখেছিলাম | সম্পর্কটা রয়েই যায় এই দুটো মানুষের সাথে | আজ আমার বিয়ে, দিব্যাংশুর সাথে | ভীষণ খুশি আজ আমি | কিন্তু রঞ্জনবাবুর প্রতি আকর্ষণ, ওনার প্রতি শ্রদ্ধা, এটাও অস্বীকার করা যায় না | জানি না এই সম্পর্কের নাম কী? কী তার সমীকরণ? কিন্তু মানুষটাকে বড্ড, বড্ড ভাললাগে আজ আমার | আজও, তার ব্যক্তিত্ব, উপস্থিতি, তার ইরাদেবীর প্রতি এই গভীর প্রেম, যা শাশ্বত, এসব কিছু মিলিয়েই যেন আমার মনে আলাদা জায়গা করে নিয়েছে মানুষটা | এভাবেও ভালবাসা যায় তা ওনারাই আমায় শেখালেন | আমি দিব্যাংশুকে ভালবাসি, ভীষণ ভালবাসি | কিন্তু, রঞ্জনবাবুর সাহচর্য, ওনার সঙ্গে এই সম্পর্ক, বন্ধুত্ব এগুলোও আমি কখনো হারাতে চাই না | প্রেম তো অনেক রকমের হয়, এটাও হয়তো তার একটা জটিল রূপভেদ | উত্তরটা কী….তা আমারও জানা নেই |

তুলিকা রায়ের কলমে দুটি ভিন্ন স্বাদের সেরা উপন্যাস একসাথে মাত্র ৯৯/- টাকায় -

Share with

এরকম আরো কিছু গল্প

মুক্তি

বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে হয়ে গেল, আকাশ তখন থেকে ঠায় বসেই রয়েছে ঘাটে। এখন বাঁধানো ঘাট থেকে করিডোর হয়ে বাবা বিশ্বনাথের মন্দিরে পুজো দেওয়া অনেকটা সহজ

Read More »

বন্ধু হবি চল

বাক্সপেটরা নিয়ে স্টেশনেই বসে ছিল নয়না, বৃষ্টি পড়েই চলেছে, মুষলধারায়। বাবা বলল আরেকটু অপেক্ষা করতে, এত বৃষ্টিতে তো ছাতাও হার মানবে, আর বেরিয়ে রাস্তাও অজানা

Read More »

টিফিনবাক্স

প্রতিবারের মতন এই বছর ও সমস্ত সরঞ্জাম গুছিয়ে বেরোনোর জন্য ব্যস্ত অমিত, অন্তত সন্ধ্যার মধ্যে বেরোতে না পারলে খুব মুশকিল। পুজোর দিকটা কতদূর কি হলো

Read More »

ক্লিক

।।১।। -“মালিনী, কালকের মিটিংটা কখন ফিক্স করেছ? -“ম্যাম, সকাল ১১টা।” -“ওকে, কনফার্মেশন পেয়ে গেছ?” -“ইয়েস ম্যাম।” -“ওকে গুড। আর।।। এক মিনিট।।।” টেবিল থেকে ফোনটা তুলে

Read More »

শিক্ষা

।।১।। দাপুটে, বদরাগী, মেজাজি এই সব কটা বিশেষণই বেশ ভালো যায় মিসেস বোসের সাথে। রেণুকা বোস আর অমরনাথ বোস সানফ্লাওয়ার এপার্টমেন্টে ১২০০ স্কোয়ারফিটের ফ্ল্যাট 2c

Read More »

বিদায়

।। ১।। রীতিমত জোর করেই নন্দিনীকে পাহাড়ে নিয়ে এলো সঙ্গীতারা। আসার ইচ্ছে তো ছিল না ওর একদমই, শরীর সাথ দিলেও মনটা কোনোভাবেই সাথ দিচ্ছে না।

Read More »

Share with