চলো পাল্টাই

।।১।।

“আর যেন আশেপাশে তোকে ঘুরতে না দেখি”- বলে নিজের হাতের অস্তিনটা ঠিক করে নিল পিউ, সবে মাত্র ওর হাতটা একটা লম্পটের গাল লাল করে ক্ষান্ত হয়েছে ।

আশেপাশে তখন যথারীতি লোকের জমায়েত, ভিড় ঠেলে একহাতে বান্ধবী বিহু-এর হাত ধরে বেরিয়ে এলো পিউ, আর অন্য হাতে সেই মেয়েটা, যার জন্য নিজের এনার্জি এখন খানিকটা খরচ হলো ওর ।

-“তুই আর বদলালি না, একটু মাথাটা ঠান্ডা কর না ।”

-“তুই থাম তো বিহু, এই চুপ থেকে থেকেই মালগুলো এভাবে বাড়ছে ।”

**************

এই হচ্ছে পিউ চৌধুরী, বর্ধমানের বনেদী বাড়ি ‘চৌধুরী নিবাস’-এর সবথেকে ছোট সদস্য । যে বাড়ির সবার কাছে ছোট্ট, ভাল মেয়ে হিসাবে পরিচিত হলেও বন্ধু মহলে “ঝাঁসির রানী” নামেই পরিচিত । অন্যায়ের সাথে আপোষ, ভুলকে মেনে নেওয়া এগুলো যার ধাতে নেই । নিজের প্রতিবাদের গলাটা যার সব সময়ে মুখর থাকে, সেই হলো পিউ ।

শরীরী ভাষায় দৃঢ়তা, চোখের তীক্ষ্ণতা, ক্ষুরধার বুদ্ধিমত্তায় পিউ আজ ওর বন্ধুদের কাছে অনন্যা, অদ্বিতীয়া ।

বনেদী, গোঁড়া পরিবারে একটা প্রতিবাদী মেয়ের জায়গা নড়বড়েই থাকে, এখানেও তাই । সমাজ কী বলবে, বনেদী বাড়ির নামে আঁচ পড়বে, সুতরাং, এসব প্রতিবাদের ভুত, নৈব নৈব চ ।

***************

“পিউ, অ্যাই পিউ, আজ কিন্তু ঝটপট চলে আসবি, আজ ওনারা আসছেন” ….তাড়াতাড়ি মাথায় ক্লিপটা লাগাতে লাগাতে হঠাৎ মা-এর কথায় পিউ-এর টনক নড়ল, আরে তাই তো, পরশু-র বদলে তো আজই ওনাদের আসার কথা ।

উফফ কি অদ্ভুত একটা পরিস্থিতি । এরপর বলবে গেয়ে দেখাও, ওদের মফস্বলে এখনও এসবই হয় ।

চা-এর কাপ হাতে সং সেজে গিয়ে প্রণাম করো, দেনা-পাওনার কথা উঠলে মাথায় আগুন জ্বললেও মুখে মিষ্টি হাসিটা ধরে রাখতে হবে, বাইরে যতই প্রতিবাদের ঢেউ তুলুক না কেন, ভিতরে তাদের সামনে শান্ত মিষ্টি, নম্র, সহনশীল মেয়ে সেজে থাকতে হবে, উফফফ ।

।।২।।

-“তোমার নাম কী মা?”

-“পিয়ালী চৌধুরী।”

-“কী পড়ো তুমি?”

-“আমি ল নিয়ে পড়ছি ।”

প্রশ্নোত্তরের রেপিড ফায়ার চলছিলই, সঙ্গে টুকটাক খাওয়াদাওয়া, রসগোল্লা সন্দেশ, ঠান্ডা পানীয়-র সমাবেশ, এসবের মাঝেই একজন একদৃষ্টে তাকিয়েছিল পিউ-এর দিকে । পিউ-এর পরনে কচি কলাপাতা রঙের শাড়ি, হাতে, কানে, গলায় মুক্তোর আভা ।

তার পরনে গাঢ় নীল রঙের হাত গোটানো পাঞ্জাবী, চোখে হাফ রিম চশমা, হালকা দাড়ি, এক কথায় হ্যান্ডসামই বলা চলে । একদৃষ্টে তাকিয়ে যেন পিউ-র চোখের মধ্যে দিয়ে ভিতর অবধি পড়ে ফেলেছে, পিউ যেন চেষ্টা করেও লুকোতে পারছে না আসল পিউকে, আর কেউ না বুঝলেও এই মানুষটার চোখে ধুলো দেওয়া যেন খুব কঠিন মনে হচ্ছে পিউর ।

সমস্ত সম্বন্ধে যা হয়, কিছুক্ষণের জন্য ছেলে মেয়েকে আলাদা কথা বলতে দেওয়া হয়, যাতে এইটুকু সময় কথা বলেই তারা তাদের জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে নিতে পারে ।

কড়ি বড়গা, খড়খড়ি দেওয়া এই পূর্ব দিকের ঘরটা অন্য ঘরগুলোর থেকে পিউ-এর বেশী পছন্দের । তিনদিক খোলা ঘরের সামনের বারান্দাটা দিয়ে সামনের বাগানটা পুরো দেখা যায় । কী মিষ্টি ফুলের গন্ধ ভেসে আসে এদিকটা দিয়ে, আর ঘরের ঝাড়বাতির মায়াবী আগুনের শিখায় পরিবেশটা যেন আরও সুন্দর, আরও মোহময়ী । লাল নীল জানলার আর্শিগুলোয় আলো পড়ছিল, আর তার প্রতিফলন পড়ছিল, পিউ-এর সুন্দর মুখ খানায়, সেদিকে চেয়ে কোনো প্রশ্ন করতেই ভুলে গেছিল রাজীব ।

-“আপনার ব্যাপারে যতটুকু শুনেছি, আপনি খুব শান্ত, কিন্তু আমার কিন্তু তা একবারও মনে হচ্ছে না ।”, পিউ-র চোখের দিকে তাকিয়ে কথাগুলো বলল রাজীব ।

পিউ-র বুকের ভিতর ধুকপুকুনিটার কথা জানান দিচ্ছিল ওর হাতের অস্থিরতা ।

এ একবার দেখেই কীভাবে বুঝে গেল? ও তো চুপচাপ-ই বসে আছে, তাও…. কি হলো কেসটা, ভাবতে ভাবতেই পিউকে অবাক করে দিয়ে রাজীব নিজের ফোনটা হাতে নিয়ে বলল, “৯৮৩৬৫…., এটা আমার নম্বর, আর….”

মৌনতাই সবটা বলে দিচ্ছিল দুজনের মধ্যে । কেন জানে না, কিন্তু সবকিছু খুব ভাল লাগছিল পিউ-র ।

সেই ভালবাসার রেশ থেকেই রাজীবরা চলে যাওয়ার সময় নিজের ঘরের জানলায় পিউ-এর লুকিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা, আরও খানিক্ষন দেখা, কই এরকম লজ্জা তো আগে কখনও পায়নি, তাহলে আজ যে হঠাৎ কী হলো, ও কবে থেকে এরকম লাজুক হলো, ও নিজেই অবাক ।

রাত্রে খেয়ে দেয়ে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে অনেক ভেবে “রাজীব দত্ত” লিখে টাইপ করেই ফেললো পিউ ।

পিউ-র আশপাশটায় যেন নানা রঙের আবির-এর খেলা, যেন রং বেরঙের আলোর রোশনাই ,একেই হয়তো প্রেম বলে ।

।।৩।।

পাড়ার মুখের কফিশপের ৩ নং টেবিলটা, বা মুখার্জীদার গরম স্যান্ডউইচ-এর থালা, গঙ্গার পাড় বা ফুচকার স্টলটা, সামনের পার্কের কোণের বেঞ্চটা বা লস্যির দোকানটা, সবাই সাক্ষী এখন একটু একটু করে পরম যত্নে বেড়ে ওঠা রাজীব আর পিউ-এর প্রেমের ।

আজ পিউ আগের থেকে অনেক আলাদা, ওর জীবনে খুব সুন্দর একটা পরিবর্তন এসেছে, আর সেটা রাজীবের জন্যই । ওর আশপাশের জগৎটা এখন অনেক বেশী রঙ্গীন, অনেক বেশী সজীব । একটা কেমন যেন ঘোরের মধ্যে ও এখন ।

*************

ঘরের জানলার পাশে বসে নিজের স্বপ্নের বিয়ের টুকরো টুকরো ভাবনাগুলো নাড়াচাড়া করছিল পিউ, বন্ধু বিহু যে কাল থেকে কতবার কল করেছে সেদিকে দিকপাতই নেই ।

ওদিকে বিহুও বারবার ফোন করে না পেয়ে বুঝল নিজের বিয়ে নিয়ে পিউ-টা ব্যস্ত । যাক গে, এরকম সময়ে ভুলভাল খবর দিয়ে বেকার বেকার বন্ধুটার মন উচাতন না করাই ভাল ।

*************

-“হ্যাঁ রে পিউ, বেনারসীটার সাথে ম্যাচিং ব্লাউজটা কি কাল কিনতে যাবি ?”

বলাই বাহুল্য বিয়ে বাড়ির প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে । লাল বেনারসী, গয়না, তত্ত্ব, লাল নীল আলো, সানাই – এসবের ভিড়ে এখন এক অন্য জগতেই বাস পিউ-র । ভালবাসা এভাবে ধরা দেবে ও স্বপ্নেও ভাবেনি ।

*************

গোধূলি লগ্নে, সূর্যের লাল আভা আর লাল টকটকে সিঁদুরে সাক্ষাৎ মা লক্ষী পিউ । নাকের উপর সিন্দুরগুঁড়ো, নাকের নথ, টিকলি, চন্দন, লাল বড় টিপ এইসব নিয়েই এ এক অন্য মেয়ে, আজকের সানাই-এর প্রতিটা সুরের কেন্দ্রবিন্দু ও । এতো মানুষের সমাগম, এত আয়োজন, ওর ভালবাসার মানুষ এইসব কিছুই শুধু পিউর জন্য । আজ পিউ-এর বন্ধুরাও ওর জন্য খুশীতে পাগল । হাসিমুখে একে একে পোজ দিতে দিতে সন্ধ্যেও এগোতে লাগল, রাত বাড়ার সাথে লাল নীল আলো আর আতসবাজির কারসাজিতে ভরে উঠতে লাগল চৌধুরী নিবাস ।

।।৪।।

-“হ্যাঁ, ঘটনাটা কাল রাত্রের ।”

……

-“কী অবস্থা বলতো, মেয়েটা আছে কেমন?”

……

-“এরকম চললে তো মেয়েদের হাঁটা চলাই করা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে ।”

এরকমই টুকরোটুকরো কথাগুলো আশীর্বাদের সময় কানাঘুষোয় কানে আসছিল পিউ-এর । বুঝতে সময় লেগেছিল ওর, যে কার ব্যাপার , কী নিয়ে কথাগুলো হচ্ছে ।

বুঝতে বেশ খানিকটা সময় লেগে গেল পিউ-এর যে কথাটা বিহুকে নিয়ে উঠেছে, আর সবটুকু শোনার পর আর পিউ-এর পক্ষে স্থির হয়ে বসে থাকা সম্ভব ছিল না ।

**************

একটা নরপশুর পাশবিক অত্যাচার আর লালসার স্বীকার হয়ে এখন বিহু হাসপাতালে । ঘটনাটা ঘটেছে কাল, পিউ-এর বিয়ে থেকে ফেরার পথে । বিরক্ত করাটা ক’দিন আগে থেকেই শুরু করেছিল, কিন্তু পিউ তখন এতটাই ব্যস্ত ছিল যে কিছু বলা আর হয়ে ওঠেনি বিহুর ।

-“আমি এক্ষুনি হাসপাতালে যাবো ।”

নববধূর সাজে পিউ-এর মধ্যে প্রতিবাদী সত্ত্বাটা আস্তে আস্তে উঁকি দিচ্ছিল ।

হায় আমাদের সমাজ । এই সমাজে ধর্ষকের থেকে বেশী ধর্ষিতা বদনাম হয়, ধর্ষিতা একঘরে হয় । এক্ষেত্রেও তাই ।

নতুন বৌ, তায় বনেদী বাড়ির মেয়ে এক ধর্ষিতার সাথে দেখা করতে যাবে, তা কখনো, সম্ভব নাকি? আর এই “না” বলার তালিকায় সেই মানুষটাও ছিল, যে মানুষটাকে পিউ অন্যভাবেই চিনেছিল, অন্যরকমই ভেবেছিল । রাজীব পাশের ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে পিউ-এর হাত দুটো ধরে, “কী পাগলামো করছো? তুমি এখন কীভাবে যাবে?

-“মানে? আমার বন্ধুটার এই অবস্থা আর আমি যাবো না?”

-“না যাবে না, তুমি এখন একটা সম্ভ্রান্ত বাড়ির বউ, তোমায় তো সেই বাড়ির মান সম্মানের কথাটাও ভাবতে হবে।”

-“তোমার কী মাথা খারাপ হয়ে গেছে রাজীব, কী বলে যাচ্ছ তুমি?”

-“যা বলছি ঠিকই বলছি, তুমি কোনভাবেই আর বিয়ের পর এইসব ঝামেলায় জড়াবে না, এই আমি বলে দিলাম।”

ধৈর্যের বাঁধ ভাঙছিল পিউর, ওর ভিতরের আসল পিউ আর পারছিল না নতুন বউ, সম্ভ্রান্ত বাড়ির মেয়ের তকমাটারভার বইতে ।

-“শোন রাজীব, আমি যাবোই, তোমার অন্যায় আবদার মণ কোন ভাবেই আমার পক্ষে সম্ভব নয় ।”

হাতটা আবার ধরল রাজীব, “আজ তোমার শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার কথা, আমার বাড়ি যাওয়ার কথা, তুমি আজ হাসপাতালে গেলে আমার বাড়ির দরজা চিরকালের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে তোমার জন্য, এটা মাথায় ঢুকিয়ে নাও ।”

চোখে আগুন জ্বলছিল পিউর, হাতের বাঁধনটা কেমন যেন আলগা লাগছিল, এত ভুল করল ও মানুষটাকে চিনতে? সেই বস্তাপচা মানসিকতার ঘুন এই মানুষটারও মনের কোণায় কোণায়? আর কবে বদলাবে সবটা?

নিজের উপরই খুব রাগ হচ্ছিল পিউর, ভুল মানুষকে ভালবাসার যন্ত্রনা একমাত্র যার হয় সেই বোঝে ।

।।৫।।

(বহু বছর পর)

-“ম্যাম, পরের ক্লায়েন্টকে পাঠাবো?”

-“পাঠাও “

আজ রাজীব আর পিউ আবার একবার মুখোমুখি । নাহ, সেদিন হাতের বাঁধন আলগা হয়ে আজ জোড়া লাগেনি । আজ রাজীব পুরোদস্তুর সংসারী । পিউ একজন ল-ইয়ার সঙ্গে NGO -এর সঙ্গে যুক্ত, সেদিনকার বিহু আজ সম্পূর্ণ সুষ্ঠ, সংসারী, স্বাভাবিক । পিউ নিজের বন্ধুর হাত ছাড়েনি সেদিনও আজও ।

রাজীব যে কারণে পিউ-এর হাত ছেড়েছিল আজ সেই কারণেই পিউ-এর সাহায্য প্রার্থী । আজ রাজীব-এর একমাত্র মেয়ে মহুল সেদিনকার বিহুর জায়গায় ।

chlo paltai galpo 2nd pic

*************

সেদিনকার রাজীব-এর ভুলের উত্তর আজ রাজীব নিজের মেয়ের দ্বারা পেল । সেদিনকার মতো আজ কী নিজের মেয়েকে দূরে ঠেলে দিতে পারল ও? কই না তো । আর ধর্ষিতাই কেন বার বার সবার নিন্দার পাত্রী হবে? তার তো কোন দোষ নেই । দোষ তো বিকৃতকাম নরপশুগুলোর । এই সমাজ, সমাজে বসবাসকারী রাজীব-এর মতো মানুষগুলোকে ধিক । সময় হয়তো সবকিছুর উত্তর এভাবেই দিয়ে দেয় ।

তুলিকা রায়ের কলমে দুটি ভিন্ন স্বাদের সেরা উপন্যাস একসাথে মাত্র ৯৯/- টাকায় -

Share with

এরকম আরো কিছু গল্প

টিফিনবাক্স

প্রতিবারের মতন এই বছর ও সমস্ত সরঞ্জাম গুছিয়ে বেরোনোর জন্য ব্যস্ত অমিত, অন্তত সন্ধ্যার মধ্যে বেরোতে না পারলে খুব মুশকিল। পুজোর দিকটা কতদূর কি হলো

Read More »

হারিয়ে যাওয়া ‘আমি’

।।১।। “এই বেলটা বাজছে, একবার দেখ না, তরকারিটা নামাচ্ছি তো, দেখ রে,আরে এই টুসি, কোন সাড়াশব্দ নেই।” “আরে আমি রেডি হচ্ছি মা, তুমি দেখো।” “উফফ,

Read More »

লজ্জা

লাইটার আর সিগারেটটা নিয়ে চুপচাপ সবার নজর এড়িয়ে ছাদে উঠে এল রিনি। কিছু আগেই বেশ বৃষ্টি হয়ে গেছে। ছাদটা ভিজে এখনও, মাটির সোঁদা গন্ধটা বেশ

Read More »

আজ বাঁচুন

আবাসনেরর সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলতে বলতেই চিৎকার কানে এলো… সিকিউরিটি কে ছুটে যেতে দেখে প্রথমে কিছুই বুঝতে পারছিলো না ওরা |কিন্তু তারপরই আবাসনের দিকে তাকাতেই স্তব্ধ হয়ে গেল যেন চারপাশটা…

Read More »

রদ্যি খবর

“তোকে কতবার আর বলব পুপু, আজ অন্তত দস্যিপনাটা একটু কমা। দেখছিস তো বাড়িতে লোকজন আসবে আজ।” মেয়ে পুপুকে আবার একবার খানিক ধমকে দিলো রাধিকা, বিক্রমপুরের

Read More »

এই বেশ ভালো আছি

।।১।। ট্রাঙ্ক থেকে ন্যাপথালিন দেওয়া গুটি কয়েক তোলা শাড়ি থেকে একটা শাড়ি বের করছিল মায়া । ছোট্ট দু’কামরার ঘরে এককোণে খাট, ছোট্ট আলনা, ট্রাঙ্ক, কুঁজো,

Read More »

Share with