।।১।।
-“কীরে, তোকে কখন উঠতে বলেছি আর এখন কটা বাজে? উঠবি কী না পোড়ামুখো…..
এটা রোজ সকালের ঘটনা, আবীরের মা রোজ সকাল ৮টায় কাজে বেরোয়, তার আগে ঘরের সব কাজ গুছিয়ে বেরোতে হয় । আর আবীরকে রোজই তার মা-এর বকুনি সহ্য করতে হয় । তবে এটাই আবীরের ভালো লাগে, মা-এর বকুনির মধ্যেও তো ভালবাসা আছে, আর আবীর ছোট থেকেই ভালবাসার কাঙাল ।
**************
আবীর দাস, ৭ফুট বাই ৭ ফুট-এর খুপরি ঘরে মা-কে নিয়েই আবীরের একঘেয়ে জীবন । ঘরে সম্পত্তি বলতে ছোট্ট খাট, ট্রাঙ্ক, রান্নাঘরের হাতে গোনা বাসন, টিমটিমে আলো, স্যাঁতসেঁতে ঘরের দেওয়াল আর একরাশ শূন্যতা ।
আবীরের মা ছায়াদেবী বাড়ি বাড়ি রান্নার কাজ করেন । আবীর ছোট থেকেই বাবাকে দেখেনি, তাই মা ছাড়া আর কিছুই বোঝে না ও । ছোট থেকে লেখাপড়ায় ভাল বলে ছায়াদেবী বহু কষ্টে স্কুলে ভর্তি করিয়ে ছিলেন । তা ভুল করেননি, ওর সাথের বাকী পড়ুয়ারা কবেই স্কুলছুট-এর দলে নাম লিখিয়েছিল, আর আবীর এখন কলেজের খাতায় নাম লিখিয়েছে । খালপাড়ের খুপরি বস্তিতে কলেজ পড়ুয়া ছেলে থাকলে স্বভাবতই মায়ের গর্ব হওয়ারই কথা । ছায়াদেবীও তার একমাত্র অবলম্বনকে আশ্রয় করেই চোখের জল ফেলেও হাসিমুখে দিন কাটাচ্ছেন ।
*************
রোজ ঘুরপথে হলেও এইদিকের রাস্তাটা দিয়েই আবীর কলেজ যায়, ঝরঝরে সাইকেলকে সঙ্গী করে । এখান দিয়ে যাওয়ার একমাত্র কারন রুহি । রুহি রোজ এই রাস্তা দিয়েই যায়, ‘মডার্ন’ নাম যে দর্জির দোকানটা, ওখানে কাজ করে, আর ওকে এক ঝলক দেখার জন্যই আবীরের এই কঠোর পরিশ্রম । তা এই পরিশ্রমের কারণ সম্পর্কে মা বা কেউই এখনও অবগত নন, এমনকি রুহিও না – তবে বুঝতে পারে ।
একদিন আবীরের আসতে দেরী হয়েছিল একটু, মিনিট সাতেক, আবীর না আসা অবধি বাসস্টপের কাছে কোন বাস না ধরার থাকলেও দাঁড়িয়েছিল রুহি । সেদিনই আবীর এর মানে বুঝেছিল, তাই এবার মনের কথা বলতে কোন দ্বিধা নেই আবীরের ।
দর্জির দোকানে কাজ করে রুহি, নিজের পরনে রঙচটা ছেঁড়া ফাটা সালোয়ার, ক্ষয়ে যাওয়া হাওয়াই চটি, আর শতছিন্ন একটা কাপড়ের ব্যাগ । দত্ত বাড়ির গিন্নি শান্তিনিকেতন থেকে কেনা ব্যাগটা খারাপ হয়ে যাওয়ায় ওটা রুহির মা-কে দিয়ে দিয়েছিল, তা ব্যাগটার বয়স প্রায় পাঁচ ছয় বছর ।
রোজ সকালে নাকে মুখে গুঁজে এই দুই মানুষের পথ চলা এভাবেই শুরু হয় । দিনের শেষে আবার সেই ঘিঞ্জি বস্তি, রাতে থালায় শুকনো রুটি সবজি, আবার পরের দিনের যুদ্ধ শুরু ।
।।২।।
আজ আবীর বলেই দেবে । নাহ, আর ভাল লাগে না । রোজ দিনে রাতে শয়নে স্বপ্নে একই চিন্তা । সেই নিষ্পাপ সরল মুখটা, সেই চোখের চাহনি, সেই হাজারো অভাব আর না থাকার মধ্যে যেন অনেকটা মিশে থাকা, অনেকটা সাধারণের মধ্যেও যেন খুব অসাধারণ, খুব অন্যরকম, রুহি । রুহিকে আজ নিজের মনের কথা আবীর বলবেই ।
**************
আজ ইচ্ছে করেই কলেজ যাওয়ার পথে নিজের ঝরঝরে বাহান্তা নিয়ে দাঁড়ায়নি আবীর । রুহি কি ওকে দেখতে না পেয়ে অপেক্ষা করবে? ওর জন্য চিন্তা করবে? নাকী….
কলেজে যতক্ষন ছিল একই কথা মাথায় পাক খাচ্ছিল । দীর্ঘ প্রায় আটমাসের অভ্যেস এই সকাল বেলার মিনিট কয়েকের দেখাটা । মনটা বড্ড খারাপ লাগছিল আবীরের, কতক্ষনে যে কলেজ থেকে বেরোতে পারবে, সেই ভাবনাতেই ঘড়ির কাঁটা জানান দিল যে সময় উপস্থিত ।
নিজের পক্ষীরাজকে সঙ্গী করে যতটা দ্রুত যাওয়া যায়, ততটাই জোরে সাইকেলটাকে ছোটাল আবীর । দুপুরের দিকটায় দোকান থেকে ঘরে একবার আসে রুহি, হয়ত খেতে । এর আগেও আবীর দেখেছে, আর তখন রাস্তাটাও ফাঁকা থাকে । এটাই সুযোগ মনের কথা বলার । আজ ঐ জায়গাতেই দাঁড়াল আবীর, ঘড়ি বলছে তখন দুপুর সাড়ে তিনটে ।
পড়ন্ত দুপুরে একজন ২০ বছরের ছেলে তার প্রেয়সীর অপেক্ষায় নিজের মনের কথা জানানোর জন্য । সূর্যের আলো রঙ বদলাচ্ছে তখন, স্বর্ণাভ থেকে রক্ত-লাল । এখনো আসছে না কেন? কি হলো আজ? মনের এই উচাতনে দগ্ধ হচ্ছে সদ্য কৈশোর পেরনো প্রেমিকের মন ।
***************
ঘড়ির কাঁটা ৪টে পেরোল, তখন দেখা মিলল প্রেয়সীর । তাকে দেখেই প্রেমিকের মনে লাবডুব লাবডুব শুরু, সামনেই খোলা মাঠ থেকে সূয্যিমামা উঁকি দিচ্ছে, অস্তগামী সূর্য যেন প্রেম বিকিরণ করছে এই দুই মানুষের জন্যই । রোজকার থেকে আজ যেন একটু বেশীই সুন্দর লাগছিল রুহিকে । সাধারণ মুখে যেন সূয্যিমামা নিজগুনে অসাধারণত্বের একটা ছোঁয়া দিয়ে দিয়েছেন । চোখের কোণে কি একটু বিষণ্ণতা, একটু উৎকণ্ঠাও ছিল না? চুলগুলোও আজ ছিল খোলা, কানে ছিল সস্তার ঝুমকো, সব মিলিয়ে আবারও একবার মুগধ হয়ে চেয়েছিল আবীর । আবীরকে দেখে রুহির চোখও কি একটু আশ্বস্ত হলো না?
নিজের সমস্ত সাহস আর শক্তি সঞ্চয় করে অবশেষে আবীর দাঁড়াল রুহির সামনে ।
-“আ…. আপনাকে… মানে তোমাকে… মানে… ভালবাসি, মানে ভালবেসে ফেলেছি ।”
অতি কষ্টে এতটুকু বলে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলো আবীর । ওপ্রান্ত তখন নিশ্চুপ ।
মৌনতা ভেঙে আবীরই আরও খানিক সাহস সঞ্চয় করে বলল,” আমি অনেকদিনই…. মানে তোমায় বলতে চেয়েছিলাম, মানে বলার সাহস করে উঠতে পারিনি, কিন্তু তোমার জন্য এখন দিন-এর পড়াশোনা রাতে ঘুম সব মাথায় উঠেছে… মানে, বলতে চাইছি এভাবে কী চলে বলো? তার থেকে বলে শান্তি আর কী….”
আবীর নিতান্ত ক্যাবলার মতোই কথাগুলো বলে হেসে ফেললো মাথা চুলকে, এতক্ষন থেকে ওপ্রান্ত থেকে উত্তর এল, উত্তর বলা ভুল, ফিক করে হেসে ফেললো রুহি । রুহিকে হাসলে এত মিষ্টি দেখায় আগে তো কখনো দেখেনি আবীর । আবীরও হাসতে লাগল আবার ।
“থাক আপনি বলতে তো পেরেছেন, এটাই বড় ব্যাপার, নয়তো আমার নিকাহ হয়ে যেত, আর তখনও….” হাসতে হাসতে এগোতে লাগল দুজন । জাত ধর্মের বেড়া টপকে ক্ষয়ে যাওয়া হাওয়াই চটি দু জোড়া এগোতে লাগল একই গন্তব্যের পথে ।
।।৩।।
(কিছুদিন পর)
-“আপনি, আমায় আপনি বলেন কেন? তুমি টাই তো ভাল শোনায় ।”
ঘুরপথের মাঠটার সামনে একটা পুকুরও আছে । পুকুরের ধারে গাছের তলায় একান্তে একটু সময় কাটায় দুজন ।
এই ডিজিটাল জগতেও কোন প্রস্তর যুগে পড়ে আছে এখনও এরা । যেখানে এই যুগে সব কিছুতেই স্পীড, সেখানে এরা এখনও একে অপরের হাতটুকু ধরতে পারেনি ।
-“আপনি যদি বলেন, তাহলে আমি তুমিই বলব ।” আবার একবার মাথা চুলকে ক্যাবলার মতো হাসল আবীর । মুক্তোর মতো হাসিটুকু হেসে আবীরের মনটা উড়িয়ে নিয়ে গেল রুহি, আরও একবার ।
**************
আজকের দিনটা অন্যদিনের থেকে একটু আলাদা । আজ আবীরের জন্মদিন, শত দারিদ্রতার মধ্যেও ছায়াদেবী ছেলেকে পায়েসটুকু খাওয়ান এতগুলো বছরে কোনদিন তার অন্যথা হয়নি । আজও হলো না, সকালে ছেলেকে পায়েসটুকু খাইয়ে কাজে বেরোলেন । এখন আবীরও টিউশনি করে, মাকে রাত্রে ট্রিট হিসাবে কিছু খাওয়াবে প্ল্যান হলো, বাকীটা রোজকার মতোই । বিকেলে আজ আবার সেই গাছের তলায়, পুকুরের সামনে ।
-“আজ তোমার জন্য আমি একটা জিনিস এনেছি ।” বলেই হাসিমুখে ব্যাগ থেকে একটা স্টিলের কৌটো বের করলো রুহি ।
-“আমার জন্য? তা কী শুনি?”
স্টিলের কৌটোয় নিজের হাতে বানানো মাংস এনেছে রুহি, রুহির হাতের গুনে সাধারণ মুরগীর মাংসটাও অসাধারণ লাগছিল আবীরের, যে আবীর মুরগীর মাংস খেতই না । একেই হয়তো প্রেম বলে, যেখানে সামনের মানুষটার খুশির জন্য, তার মুখে হাসি দেখার জন্য সবকিছু করা যায় ।
আবীর রুহির মুখের দিকে তাকিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতে পারে । কোন ক্লান্তি নেই, কোন বিরক্তি নেই, শুধুই ভালবাসা ।
আবীরকে অবাক করে দিয়ে রুহি ব্যাগ থেকে একটা ছোট্ট বাঁশি বের করল ।
-“এটা কী?”
_”তোমায় বলিনি কখনো, ছোট থেকেই আমি বাঁশি বাজাই । আজ ভাবলাম তোমার জন্য কিছু বাজাই ।”, বলে বাঁশিটা বাজাতে শুরু করলো ও ।
আবীরের বিস্ময়ের পর বিস্ময়ের পালা । একমনে রুহির দিকে তাকিয়ে শুনছিল ও, সুরের খেলায় আর ভালবাসার মানুষটার সান্নিধ্যে কেমন একটা ঘরের মধ্যে চলে গেছিল ও । চোখবুজে যেন কোন এক অন্য জগতেই চলে গেছিল, ঘর ভাঙল সুরের সমাপ্তিতে । চারপাশে তখন পাখি উড়ছে বাসার পথে । আকাশে সূর্য কখন আড়াল হয়ে গেছে খেয়ালই করেনি । রুহির হাতটা আজ প্রথম স্পর্শ করলো আবীর একটু যেন কেঁপে উঠলো রুহি । দুজনের চোখে চোখ রেখে দুজনেই হারিয়ে গেছে কোন অতল সীমানায় । রুহির কপালে পরম যত্নে নিজের ঠোঁটের স্পর্শ এঁকে দিল আবীর । রুহি জড়িয়ে ধরল আবীরকে, মাথা রাখল আবীরের কাঁধে । যেন এক পরম শান্তি, অসীম দারিদ্রতা, শূন্যতার মাঝে যেন অনেকটা পাওয়া, এর থেকে বেশী আর কীই বা চাই?
*************
রাত্রে মা-এর কথায় তাল কাটল । জন্মদিনে মা-কে খাওয়াবে বলে নিজের টাকায় মা-র জন্য আজ বাইরে থেকে খাবার এনেছিল, আর মা-ও ছেলের পছন্দের পনির বানিয়েছিল । গরাসটা মুখে পুরতে পুরতেই মা বলল,”তোকে নতুন করে বোঝানোর কিছু নেই, অনেক কষ্ট করে তোকে লেখাপড়া শেখাচ্ছি, সেটা কর, যেটা হওয়ার নয়, সেটাই এগিয়ে কী লাভ? তোর থেকেও বেশী মেয়েটা সমস্যায় পড়বে, অন্তত ওর কথা ভেবে এসব বন্ধ কর ।”
খারাপটা আর গলাধঃকরণ হচ্ছিল না আবীরের । মা সব জেনে গেল কী করে? এবার কী হবে? ইসস মার থেকে লুকিয়ে ও ঠিক করেনি, মা-কে কী সব বলে দেবে? হ্যাঁ, বলে দেওয়াই ভাল ।
মা-কে বলতে যেতেই মা কথা কেটে বলল, ” আমি সবই জানি, তোর বই খাতা গোছাতে গিয়ে রুহির চিঠি পেয়েছিলাম । তোদের ভাল-র জন্যই বলছি, এসব ভুলে যা ।”
আবীর বলল, “ওর কেন বিপদ হবে? আর আমি তো লেখাপড়া করছি, চাকরিও করব, তাহলে…”
মা ততক্ষনে খাওয়া শেষ করে উঠে গেল, সে রাত্রে আর আবীরের চোখে ঘুম এল না । অজস্র দুশ্চিন্তার মাঝে চোখদুটো যখন একটু লাগল তখন প্রায় ভোর ।
।।৪।।
(কিছুদিন পর)
প্রেমের সোনালী রোদ খানিক কমে এখন দুশ্চিন্তার কালো মেঘ অনেকটা জায়গা দখল করে নিয়েছে রুহি আর আবীরের মধ্যেকার সময়টার ।
রুহির বাড়িতে অশান্তি শুরু হয়েছিলই, ইদানিং পাড়ার লোকজনও কটূ ইঙ্গিত করতে শুরু করেছে । এখানে সমাজ এখনও স্বাধীনতার আগের সময়ে পড়ে রয়েছে । তাই এখন পথে যেতে আস্তে কটূক্তির সাথে সাথে নোংরা ইঙ্গিতও সহ্য করতে হচ্ছে রুহিকে ।
-“তুমি কিছু ভেবো না, আমি কিছু একটা ব্যবস্থা করছি, একটা চাকরির চেষ্টা করছি, ইন্টারভিউটা দি, চাকরিটা পেয়ে গেলেই আমি তোমায় আর মা-কে নিয়ে এখন থেকে চলে যাব ।” আশ্বাসটুকু দিয়ে রুহির হাতটা শক্ত করে চেপে ধরল আবীর । রুহির চোখে জল, তাও যেন কোথাও একটা পরম শান্তি, আপন মানুষটাকে পাশে পেয়ে ।
***************
(আরও কিছুদিন পর)
বেশ কিছু লোকজন নাকে চাপা দিয়ে দাঁড়িয়ে, গোল হয়ে জটলা । মাঠ-এর সামনের পুকুরটা থেকেই লাশটা উঠেছে, অর্ধনগ্ন এবং অত্যাচার করা হয়েছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে । পাশের চা-এর দোকানীটা বলছে ফিসফিস করে মুদিখানার মালিককে, “কিছুদিন ধরেই তো ঐ পাড়ার মস্তানগুলো ডিস্টার্ব করছিলই, ওদের মধ্যেই হয়তো কেউ করেছে, কালই তো দেখছিলাম ওড়না ধরে টানাটানি করছে । আমি বাপু ঝামেলায় জড়াইনি, পগারপার ।”
**************
হ্যাঁ, রুহি আজ মৃত, ভালবাসার অপরাধে । পোস্টমর্টেম রিপোর্ট এসেছে, খুনের আগে ধর্ষণ করা হয়েছিল ওকে ।
হিন্দু একটা ছেলের সাথে ঢলাঢলি করতে পারে, ধর্মের ধার ধারেনা, আর পাড়ার মস্তানগুলো একটু নরম স্পর্শ চাইলেই ক্ষতি? এরকমই তো শিক্ষা হওয়া উচিত । পণ্যই তো হয় নারী শরীর, তারা আবার মানুষ নাকি? আর ধর্ষক যদি হয় প্রভাবশালী, কার সাধ্যি তার টিকিটিও ধরে । আর জাতপাত ধর্ম-এর কোন রাখঢাক রাখলো দুজন? ছেলেটার ক্ষতি করার থেকে মেয়েটার ক্ষতি করাই বেশী সহজ, তাই, করে দাও ধর্ষণ । শিক্ষা দেওয়া হলো, শরীরের আরামও হলো । তারপর ক্ষমতা তো আছেই, করে দাও খুন । গরিব বস্তিতে থাকা বুড়ো বাপ্ মা প্রেমিক কীই বা করবে? ফ্যালফ্যাল করে একরাশ হতাশা আর শূন্যতাকে আশ্রয় করে বাঁচা ছাড়া আর কীই বা করার ক্ষমতা তাদের?
আবীর-এর আজ কীই বা ক্ষমতা, পাগলের মতো কাঁদা ছাড়া? রুহির স্মৃতিকে আঁকড়ে বাঁচা ছাড়া?
এটাই সমাজে হয়ে আসছে । ক্ষমতা, প্রতিপত্তি, টাকা, জাত, ধর্মের খেলা । আর আমরাই সেই খেলার খেলোয়াড়, তাই না? আপনারা কী বলেন?