পাঁচ ঘন্টা পর (প্রথম পর্ব)

।।১।।

-“মা, তাড়াতাড়ি চুলটা বাঁধো না, এত বড় চুল খুলে গেলে আবার ঝাড় খাবো, বড়দির চোখে পড়লে তো কথাই নেই, ও মা।।। মা।”

-“আরে দাঁড়া, ভাত খেয়ে উঠে তো চলে গেলি, এঁটোটা কে তুলবে? সব কাজ তো আমাকেই সামলাতে হবে। সুধার মা, তুমি বরং আগে বাসনটা মেজে নাও, মেয়ে বেরিয়ে গেলে তারপর ঘর মুছবে খন, বলেই হুড়মুড়িয়ে উপর থেকে নামলেন নীলিমাদেবী।

মেয়ে রেডি হয়ে বেরতে বেরতে সাড়ে দশটা। মেয়ে বেরিয়ে যেতে ঘরের কাজে মন দিলেন নীলিমাদেবী।

-“ইসস, আজ আবার পাঁচ মিনিট দেরী হয়ে গেল, প্রেয়ারটা আজও মিস হয়ে গেলে কেলেঙ্কারি হবে। আগের দু’দিনও মিস হয়েছে, উফফ তাড়াতাড়ি পা-টা চালাতে হবে।” কাঁধের ব্যাগটা দুদিকে নিয়ে চলার স্পীডটা বাড়াল মৌ।

এখন আর বাচ্চাদের মতো দু’কাঁধে নিলে ভাল দেখায় নাকি, এখন তো দু’দিকে বিনুনি বাঁধলেও কেমন যেন একটা লাগে, কিন্তু বাধ্য, তাই ওগুলো মানতেই হয়। এক কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেশী স্পীডে হাঁটা যায় না।

দু’কাঁধে নিয়ে চলতে চলতে বল্লভদের বাড়ির দিকে নজর পড়ল। বাড়ির সামনে কত মালপত্র, আসবাব, লোকজন এসছে বোধহয় নতুন। বল্লভদের বাড়ি তো কয়েক বছর ধরে ফাঁকাই পড়ে আছে, সেদিকটায় একবার তাকিয়ে আবার হাঁটতে লাগল মৌ। সামনের মন্দিরে ঠাকুর প্রণাম করতে করতে একবার ঘড়িটা দেখে নিল খালি। রাস্তা পেরতে গিয়ে খালি এটা দেখলো না, ওর তাকানোর পর আড়চোখে ছেলেটাও ওর দিকে তাকালো সবার অলক্ষ্যে, ঐ যারা বল্লভদের বাড়ী নতুন এসছে।

***************

আজ স্কুল থেকে ফেরার পর থেকেই নিজের ভাবনাতেই ডুবে আছে মৌ, স্কুল থেকে ফেরার পর একটু চটপটা খেতে ইচ্ছে করে, নয়তো রোজ রোজ মুড়ি তরকারি আর ভাল লাগে না। বাবার কাছে সকালেই আবদার করেই রেখেছিল, ফেরার পথে সামনের খোলা নতুন দোকানটা থেকে বাবা রোল নিয়ে আসবে, তাই আপাতত মুড়ি তরকারি নিয়ে গুঁতো গুঁতি নেই। ফেরার পর বারান্দায় হাওয়া খাচ্ছিল খানিক। রেলিং ধরে বাঁদর ঝোলা হয়ে কসরত দেখতে দেখাতেই পিঠে চাপড়, মা রান্নাঘর থেকে এসে গেছে তার মানে।

মাথার বিনুনিটা খুলে দিতে দিতেই মা বলল, “তোকে কতবার বলেছি না বিকেল থাকতে থাকতেই রেওয়াজে বসবি, বাবা যখন আনবে আনবে, রেওয়াজে বোস। আর কেরোসিনটা আর বেশী নেই, কাল রেশন দেবে তখন পাওয়া যাবে, আজ অতক্ষণ চলবে না, কখন আবার লোড শেডিং হয়, দু’টো মোমবাতি এনে রেখে রেওয়াজে বোস।”

কথা কটা বলে মাথার ফিতে-টিতে নিয়ে মা ঘরের মধ্যে চলে গেল।

-“মা, ও মা, জানো তো, আজ স্কুলে একটা দারুন জিনিস জানলাম, প্রিয়াঙ্কার বাবা কিনেছে ‘মোবাইল’। জানো এই ল্যান্ডলাইনের মতন নাকী তার-ও নেই, যেখানে খুশী নিয়ে যাওয়া যায়।।।”

-“সে তো আমাদের কর্ডলেস ফোনও তাই।”

-“আহ, মোবাইল তো রাস্তাতেও নিয়ে যাওয়া যায়। কে ফোন করছে সেটাও নাকী দেখা যায়, কী দারুন ব্যাপার।।। বাবাকে বলবো কিনতে। এই এখন যদি বাবারও মোবাইল থাকত তাহলে আমায় কী আর মোমবাতি কিনতে যেতে হতো, বাবাকেই বলে দিতাম ফোন করে।।। কত্ত সুবিধা বলো।।।”

-“আর একটাও যদি বাজে কথা শুনি, তখন থেকে বকে যাচ্ছে। যে কাজগুলো করতে বলেছি, আগে কর সেগুলো, যা।”

এই যদি দাদা থাকত এখন মন দিয়ে মৌ-এর কথা শুনতো, দাদাটার যে কবে পড়া শেষ হবে, আর কবে ফিরবে, ভাবতে ভাবতেই পায়ে চটি গলিয়ে হাঁটা লাগলো বিস্টু কাকুর দোকানের দিকে।

দু’টো মোমবাতির সঙ্গে সঙ্গে একটা মৌরী লজেন্সের শিশিও পকেটস্থ করল ও। বিস্টু কাকুকে খাতায় লিখে নিতে বলে দোকান থেকে বেরতেই চোখ পড়ল। এই ছেলেটাকে কোথায় যেন দেখেছে। উমমম…ধ্যুর কিছুতেই আসল সময় কিছু মনে পড়ে না মৌ-এর, ঐ জন্য তো এবারে হাফ-ইয়ার্লির ওই অবস্থা। অনেকক্ষণ ধরে ভাবার চেষ্টা করেও কুলকিনারা কিছু না পেয়ে রাস্তা পার হয়ে ওদিকের ফুটপাথে উঠে পড়ল মৌ। কিন্তু ছেলেটা তখন থেকে ওর দিকেই চেয়ে আছে কেমন। কি আশ্চর্য, এভাবে দেখার কি আছে। না, চোখের চাহনিতে নোংরা তেমন কোন ইঙ্গিত নেই বটে, মা যেমন শিখিয়েছিল, তার বদলে কেমন হাঁদার মতন চেয়ে আছে দ্যাখো। নিজের মনেই ফিক করে হেসে দরজা ঠেলে নিজের বাড়ির গলিতে ঢুকে পড়ল ও। 

ব্যস, চলে গেল কারেন্ট। ভাগ্যিস এখনও দিনের আলো আছে। তাড়াতাড়ি সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে গেল মৌ। 

***************

-“কী? বয়ফ্রেন্ড!!! তোর ও?”

-“হ্যাঁ রে। উফফ, কী দারুন যে ফিলিংস, কী বলব তোকে। জানিস আজ স্কুল থেকে বেরিয়ে টিউশন যাওয়ার পথে লুকিয়ে দেখা করবো, ও আসবে।।।”

-“আর কাকীমা যদি জানতে পারে?”

-“ধ্যুর, কাকীমা জানতে পারবে কেন, আর তোকে জিজ্ঞেস করলে বলে দিবি তুই ছিলি আমার সাথে। আবুদার দোকানে ঘুগনি খেতে গিয়ে একটু দেরী হয়ে গেছে। ব্যস, মিটে গেল।”

-“বাবাহ, যা ভাল বুঝিস কর বাবা, আমি এসব ঝামেলার মধ্যে নেই।।।”

-“নিজে যখন এই প্রেমে পড়বে তখন বুঝবে।।।”

এই ক্লাস নাইনে উঠে নতুন একটা ব্যাপার হয়েছে, সবাই প্রেম করছে, সবার বয়ফ্রেন্ড। নয়নাই বাকী ছিল ওদের গ্রুপ এ ,এখন নয়নাও।

সবাই বলে নাকী দারুণ একটা ফিলিংস। লুকিয়ে দেখা করা, ঘুরতে যাওয়া, চিঠি দেওয়া নেওয়া করা, কোথাও দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করা একঝলক দেখার…আচ্ছা, এগুলোর জন্য লোকে প্রেম করে নাকী প্রেম করলে এগুলো এমনিই আসে???ধ্যুর, এসব মাথায় ঢোকে না মৌ-এর। টিফিন ব্রেক শেষ, এবার ইতিহাস ক্লাস শুরু হবে, যা ঘুম পায় খাবার পর। হাত মুখ ধুয়ে ক্লাসে ঢুকল মৌ।

***************

মৌ-এর শুক্রবার স্কুল থেকে ফেরার পর দিনটা দারুণ যায়। ছোড়দাদু প্রতি শুক্রবার দেখা করতে আসে ঠাম্মির সাথে। ঠাম্মির ছোট ভাই, ওদের ছোড়দাদু । ছোড়দাদু ঠাম্মির জমিয়ে গল্প চলে বেশ অনেকক্ষণ, ঠাম্মির ঘরে।

মা শুক্রবার আর তেমন কিছু বলে না, শনিবার স্কুল ছুটি।

কুট্টিপিসিও আসে দেখা করতে, শুক্রবার করে, মাসে দুবার। কুট্টিপিসির ব্রাঞ্চ এখন থেকে মিনিট চল্লিশের বাস রাস্তা। যখনই আসে, মিষ্টি, রসগোল্লা যাই আনুক, মৌ-এর জন্য কিছু আনবেই। নিত্য নতুন ক্যাডবেরি চকলেট, লজেন্স, কখনো কখনো রোল চাউমিন, লক্ষীনারায়ণ সাউ-এর তেলেভাজা কিছু না কিছু থাকবেই। আজ কুট্টিপিসির আসার কথা। বারান্দায় দাঁড়িয়ে তারই অপেক্ষা করছিল মৌ। ওদের বারান্দা থেকে বল্লভ বাড়ির ছাদটা পরিষ্কার দেখা যায়, আর ছাদে ওঠার প্রয়োজন পড়ে না। হঠাৎই চোখে পড়ল ঐ ছেলেটা। ওহ হো, এই ছেলেটাই তো সেদিন।।। হ্যাঁ, হ্যাঁ, মনে পড়েছে, ঐ ছেলেটাই তো, বল্লভদের বাড়িতে যারা এলো তারাই। সেদিন দোকান থেকে এই ছেলেটাকে দেখেই মনে করতে পারছিল না মৌ।

ছাদে পায়চারি করতে করতে পড়া মুখস্থ করতে ব্যস্ত সে। মৌ হাঁ করে তাকিয়েছিল। ফর্সা, লম্বা, চুলে হালকা বাদামী আভা, বেশ রোগ, চোখে চশমা, তবে চশমা ছাড়াই বেশী ভাল লাগে। হঠাৎ করে ছেলেটা যে মৌ-এর দিকে তাকাবে ভাবতে পারেনি মৌ। স্বভাবতই ভীষণ অপ্রস্তুত হয়ে পড়ল ও। তাড়াতাড়ি মুখ নামিয়ে ঘরে ঢুকে গেল।

***************

মৌ-দের বাড়িটা একদম রাস্তার উপরেই, তাই সারাটা দিনে পুরোপুরি নিশ্চুপ কখনোই হয় না এই পাড়াটা।

একদম সামনেই ফুলের দোকান, বিস্টু কাকুর মুদীর দোকান, একটু এগোলে বসন্তদার চা ঘুগনির দোকান, আরেকটু এগোলে ব্যাংক। একটা নতুন পার্লারও খুলেছে, আগের দিনই মেজদিভাই কীসব করিয়ে এসছে মুখে, বেশ লাগছিল। মেজদির বিয়ের কথাবার্তাও চলছে, তাই এখন বেশ টিপটপই থাকে ও।

অন্যমনস্কভাবে নিজেদের পাড়ার গলি দিয়ে হাঁটছিল মৌ, নিজের বাড়ির ছাদের দিকে তাকাতেই দেখল ঠাম্মা হাতে বেশ কিছু নিয়ে নামছে। তার মানে ঠাম্মা বড়ি শুকোতে দিয়েছিল, উফফ, দারুন লাগে মৌ-এর, ভেবেই মনটা খুশী হয়ে উঠল।

নিজের বাড়ির গলিতে ঢুকে হাত বাড়িয়ে চাবিটা নিয়ে গেটটা খুলে উপরে উঠতে লাগল মৌ। কারা যেন এসেছে, নীচের ঘরের সামনে জুতো খোলা। উপরের ঘরে উঠতে উঠতে একটু উঁকিঝুঁকি মারতে গিয়েই ভিরমি খাবার জোগাড়, আরে, এ তো সেই ছেলেটা, স্কুল ড্রেস পরে ওদের বাড়ি কী করছে? আবার মাথা নীচু করে সোফায় বসে। এ এখানে কী করছে রে বাবা! ওহ, তার মানে কী ওর বাবার কাছে পড়ার জন্য এসছে? হ্যাঁ, তাই তো মনে হচ্ছে। ওর অজান্তেই কেউ যেন ওর মধ্যে গাদাগুচ্ছের টেনশন ভরে দিয়েছে, বুকের মধ্যে কে যেন হাতুড়ি পিটছে আচমকাই। কী জন্য এরকম হচ্ছে ও নিজেও জানে না। ও আর ওখানে না দাঁড়িয়ে উপরে চলে গেল।

***************

গরমকালে দোতালাতেই বেশী আরাম। দোতলার কোণের দিকের ঘরটা ভীষণ প্রিয় মৌ-এর। ছুটির দিনে দুপুরে এই ঘরটাতেই ঘুমোতে আসে ও। বিশাল বড় ঘরটা। একদিকে বসার জায়গা, পড়ার টেবিল, আর একদিকে তক্তপোশ। ঠাম্মি তক্তপোশে ঘুমোচ্ছে। ওর দুপুরে ঘুমোতে ভালোই লাগে কিন্তু আজ মনটা খুব চঞ্চল। চেয়ারে বসে ফ্রক পরে পা দোলাচ্ছিল মৌ। অন্যমনস্কভাবে একজনের কথাই ভাবে এখন ও। এর আগে কখনো কোন ছেলের সাথে কথা বলেনি ও। একেই গার্লস স্কুল, তার ওপর ছেলেটার ঐভাবে তাকিয়ে থাকা, ওর ভিতর যে কী হচ্ছে, কাকে বলবে ও? কে-ই বা বুঝবে, ছেলেটার নাম নাকী সায়ন, সায়ন বসু।

।।২।।

(এখন)

খুচরো নিয়ে ঝামেলাটা লেগেছে মিনিট খানেক হলো, সামনের ফল বিক্রেতার সাথে ভদ্রলোকটির এই ঝামেলার চোটেই মৌ-এর ভাবনাটা থামল। ওদিক থেকে খানিক বিরক্ত হয়েই এগিয়ে এল সামনের দিকটায় মৌ। সাথে বিরাট কিছু না হলেও লাগেজ তো আছেই। না, না করে তাও দিন কয়েকের ব্যাপার।

ট্রেন আসতে এখনও মিনিট দশেক দেরী। স্টেশনে এই সময় সাধারণত এত ভিড় হয় না, আজ শনিবার তাই হয়তো ভিড়টা একটু বেশী। একটা প্যাসেঞ্জার ট্রেন আসছে, ওটা গেলে তারপর আসবে ট্রেন। মৌ-এর সামনেই ভদ্রমহিলা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে মৌ গিয়ে বসল একটু।

এই গরমে এত জবরজং শাড়ি পরে প্যাসেঞ্জার ট্রেনে উঠবে।।। বাপরে।

ভদ্রমহিলার দিকে কয়েকমুহূর্ত অন্যমনস্কভাবে চেয়ে এই সবই ভাবছিল মৌ। ওনার পরনের শাড়ির রংটাও বেশ উজ্জ্বল, এই ভরদুপুরে এরকম অদ্ভুত জামাকাপড়…

কপালের উপর মাছিটা বসতেই ভাবনা থামিয়ে হাত দিয়ে মাছিটা তাড়ালো মৌ। চোখেমুখে বিরক্তির ছাপ স্পষ্ট, একবার হাত ঘড়িটার দিকে তাকালো। ফোনটা বাজছে। ভুল করে ফোনটা ব্যাগের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছে, এই এক ওর দোষ, খানিকক্ষণ হাতড়ে ফোনটা বের করতে করতে কেটে গেল ফোনটা। মা-র ফোন।

“হ্যাঁ, বলো?”, “না, না, আমি ঠিক খেয়ে নেব”, “হ্যাঁ, হ্যাঁ, ট্রেনে চেপে জানাচ্ছি, আর তোমার ওষুধগুলো সব কিনে দিয়ে এসেছি, আর ক্যাশও তুলে আলমারিতে রেখে এসেছি। গোপালদাকে তো বলাই আছে, বাজার টাজার করে দিয়ে যাবে, তোমার আর সিঁড়ি ভেঙে বেশী ওপর নীচে করার দরকার নেই, বুঝলে?”

ওপাশে মা-র সাথে কথা বলতে বলতেই ট্রেনের এনাউন্সমেন্ট হচ্ছিল স্টেশনে। মা আবার বলল ওপাশ থেকে, “আরেকবার ভেবে দেখলে হতো না? সায়নের সাথে আরেকবার কথা…”প্রচন্ড জোরে ওপাশের প্ল্যাটফর্মটা দিয়ে মালগাড়ি পেরোচ্ছে, আওয়াজে আর মা-র বাকী কথাগুলো শুনতে পেল না মৌ, শুনতে চায়ও না ও, এখন আর এসব শুনে বা ভেবে তো কোন লাভ নেই। মাকে আর কিছু বলল না, হুঁ, হাঁ করে ফোনটা রাখল। ওর অজান্তেই একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এল যেন। প্যাসেঞ্জার ট্রেনটা তখন স্টেশন ছেড়ে এগোচ্ছে, ওর ট্রেনের ঘোষণা হয়ে গেছে স্টেশনে ততক্ষন। লাগেজগুলো নিয়ে উঠে দাঁড়াল মৌ।

তুলিকা রায়ের কলমে দুটি ভিন্ন স্বাদের সেরা উপন্যাস একসাথে মাত্র ৯৯/- টাকায় -

Share with

এরকম আরো কিছু গল্প

সাঁঝের শিশির (অন্তিম পর্ব)

।। ১।।   ( বেশ কিছুদিন পর ) সারা বাড়িতে এই লাগোয়া বারান্দাটাই টিকলির সবথেকে প্রিয়। সামনে বেশ খানিকটা জায়গা জুড়ে বাগান মতো, তারপর রাস্তা। আগে

Read More »

সাঁঝের শিশির (ষষ্ঠ পর্ব)

।।১।। (কিছুদিন পর) “আরে আমি নিজেই ফিরে যাব, রতনদা তো আছেই, আবার তুই আসবি কেন?” “তুই তো আচ্ছা হাঁদা, বলছি রতনদাকে ফেরত পাঠাতে, আর এবার

Read More »

সাঁঝের শিশির (পঞ্চম পর্ব)

।।১।। “এবার বিশ্বাস হল তো, মেয়েটা খামোখা কেন মিথ্যে বলবে বলো তো? আর আমি তো প্রথমেই দেখেছিলাম, তোমায় বলেওছিলাম, তুমিই আমার কথা বিশ্বাস করোনি, এখন

Read More »

সাঁঝের শিশির (তৃতীয় পর্ব)

“তুমি একবার আমার কথাটা শোনো, আচ্ছা আমার মিথ্যে বলে কি লাভ বলতো? আর তোমার মনে হয় আমি এই অবস্থাতেও মিথ্যে কথা বলব এখনও?” “সত্যি মিথ্যের

Read More »

সাঁঝের শিশির (দ্বিতীয় পর্ব)

।।১।। “কি গো টিকলিরাণী, খাও। কখন থেকে খাবারের থালা নিয়ে বসে আছ? তোমার প্রিয় পাস্তা করে দিলুম যে, ভাল হয়নি?” অন্যমনস্ক টিকলি সামনের বাগানটার দিকে

Read More »

Share with